38 C
আবহাওয়া
৪:১৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়: মাহি

ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়: মাহি

ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়: মাহি

বিএনএ: পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগার থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাঁর নাম মোল্যা নজরুল ইসলাম (গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার), গোটা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নয়।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর  শহরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন চিত্রনায়িকা মাহি। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাহিয়া মাহি বলেন, যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দেশে একজন পুলিশ কমিশনার একটা অন্যায় করে পার পেয়ে যেতে পারবেন না। অনেক পুলিশের সঙ্গে পরিচয় আছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক ফোর্সের প্রধানের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তাঁরা অনেক নাইস। শুধু একজন ব্যক্তির কথা বলছি বারবার, যিনি মোল্যা নজরুল। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাইনি।

লাইভে যাওয়ার প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহি বলেন, ‘লাইভে মানুষ কখন যায়, যখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়। শো-রুমটা দখল হয়ে যাচ্ছিল। ফেসবুকে যে ভিডিওটা আপলোড করা হয়েছে,  তাতে আছে, লাঠি-পাইপ নিয়ে শোরুমে আসছে দখলের উদ্দেশ্যে।

সংবাদ সম্মেলনে মাহি বলেন, লাইভে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছেন। একজন পুলিশ কমিশনার পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করা হয়েছে হয়তো। সেটার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মাহি বলেন, যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাব।

গ্রেপ্তার ও কারাগারে যাওয়া ঘটনা বর্ণনা করে মাহি বলেন, তাকে এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন পুলিশ থেকে শুরু করে গাজীপুরের পুলিশ কারাগারে দিয়েছে-এ পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা অনেক খারাপ। তারা আমাকে যেভাবে ট্রিট করেছে তাতে মনে হয়েছে, আমি একজন যুদ্ধাপরাধী। হ্যাঁ, আমি একটা লাইভ করেছি, আমি একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী নই। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমাকে গাড়িতে নেয়ার সময় ওয়্যারলেসেও কথা বলছিলেন না পুলিশ সদস্যরা। গাড়িতে আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। আমি পানি চেয়েছিলাম, তাঁরা আমাকে পানিও দিয়েছেন এক ঘণ্টা পর।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। এরপর দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে তাঁর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাহিয়া মাহির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তারের আট ঘণ্টা ও কারাগারে যাওয়ার প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান মাহিয়া মাহি।

বিএনএনিউজ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ