38 C
আবহাওয়া
২:৫০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জোৎস্নার ছয় টুকরো মাছের ঘেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল অভির

জোৎস্নার ছয় টুকরো মাছের ঘেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল অভির


বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: ফার্মেসির ভেতর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে রাখা হয় শাহনাজ পারভীন জোৎস্নাকে। এরপর পালাক্রমে ধর্ষণ করেন অভি ও তার দুই সহযোগী। জ্ঞান ফেরার পর ধর্ষণের কথা পরিবারকে জানাতে চাওয়ায় ছয় খন্ড করা হয় জোৎস্নাকে। ঘটনা এখনেই শেষ নয়, জোৎস্নার শরীরের খন্ডগুলো সুবিধাজনক সময়ে মাছের খামারে ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল ধর্ষক ও খুনীদের।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রিফিংয়ে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তিন সন্তানের জননী জোৎস্নাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে অভি ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ অভিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এর আগে সুনামগঞ্জ থেকে অভির সহযোগী অনজিৎ চন্দ্ৰ গোপ ও অসীত গোপকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুক্তাধর জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভি জোৎস্নাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বলেন, সরানোর আগেই  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহের খন্ডিত অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মুক্তাধর বলেন, পূর্বপরিচিত হওয়ায় জোৎস্না বুধবার বিকেলে ওষুধ কিরতে যান অভি ফার্মেসিতে। সমস্যার সমাধানে সঠিক ওষুধ দেয়ার আশ্বাসে বসিয়ে রাখা হয় জোৎস্নাকে। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ি ফিরতে চান তিনি। ‘এরইমধ্যে অভি তার বন্ধু মুদি দোকানদার অনজিৎ গোপ ও অরূপ ফার্মেসির মালিক অসীত গোপ মিলে জোৎস্নাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। এজন্য জোৎস্নাকে চিকিৎসার কথা বলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় অভি। জোৎস্না ঘুমিয়ে পড়লে তারা ফার্মেসি বন্ধ করে চলে যায়। পরে রাত গভীর রাতে তিনজনে গিয়ে জোৎস্নাকে ধর্ষণ করেন।

মুক্ত ধর জানান, জ্ঞান ফেরার পর ধর্ষণ করার বিষয়টি বুঝতে পারে জোৎস্না। পরিবারকে ধর্ষণের কথা জানিয়ে দেয়ার হুমকী দিলে তিনজন মিলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জোৎস্নাকে। পরে লাশটি ধারালো ছুরি দিয়ে মাথা, দুই হাত, দুই পা এবং বুক, পেটসহ ৬টি অংশে ভাগ করে অভি ও তার সহযোগীরা।

শাহনাজ পারভীন জোৎস্না ২০১৩ সাল থেকে জগন্নাথপুর পৌর শহরের নিজ বাসায় দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী হরকু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ