বিএনএ, ঢাকাঃ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম আজ রোববার শুরু হচ্ছে। আর এই ভর্তির প্রক্রিয়া চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি (সকল) ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাক্রমে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল শিট (অপেক্ষমান তালিকাসহ) ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়বে ৫.৮ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০ টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি। ফলে বেসরকারি আসন খালি থাকবে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪৭টি।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম অনলাইন ও লটারির মাধ্যমে করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।
সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশ আসন কোটায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি সুযোগ পাবেন মাত্র ৪১ শতাংশ আসনে।
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি গ্রহণের সময় নিচের বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।
১) ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে।
২) নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
৩) মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
৪) একই শিক্ষার্থী অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বার বার পরিবর্তন করে, মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে একাধিকবার নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) জালিয়াতির কারণে তাকে ভর্তি করা যাবে না।
৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওই কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্যান্য সংরক্ষিত কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমান তালিকার ক্রমানুসারে ওই সব শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
৬) সহোদর বা সহোদরা বা যমজ ভাই বা বোনের ভর্তির বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিএনএ / এমএফ