বিএনএ,ঢাকা: রাজধানী সহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। ফেসবুক ও মেসেঞ্জারেও প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে। কেউ আবার প্রবেশ করতে পারলেও ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে বার্তা বা ছবি পোস্ট করতে পারছেন না। এমনকি অন্যদের পোস্টে ক্লিক করে বার্তা বা ছবি দেখতে পারছেন না তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, ফেসবুকের হালনাগাদ পোস্ট খুঁজে পেতেও সমস্যা হচ্ছে অনেকের।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালের পর থেকেই দেশের প্রায় সব মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলার পাশাপাশি ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে।
নাসির নামের এক ঢাবি শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, গতকাল রাতে ভিপিএনের (ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ধীরগতিতে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করা গেলেও এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানেও একই ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
গুলিস্তানের ফায়ার সার্ভিস মোড় এবং চানখাঁরপুলেও মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সানজানা ও অর্ণব নামের দুই শিক্ষার্থী। এর পাশাপাশি মিরপুর থেকেও ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ঠিকমতো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমি টেলিটক সিমে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ওয়াইফাই ব্যবহারে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ চললেও ডাটাতে এসব এপ ওপেন হচ্ছে না। ফেসবুকে কিছু আসছে না। কাউকে মেসেজ পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না।
মোবাইল অপারেটর ও সংশ্লিষ্টরা জানান, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন উপায়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফোরজি বন্ধ থাকায় ফেসবুকে ছবি বা ভিডিও আপলোড কিংবা লাইভ করা যায় না।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনা পেলে এক সেকেন্ডের মধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবেই ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজস্ব জ্যামার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোনো অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জ্যামার ব্যবহার করে থাকেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
বিএনএ,নিউজ /রেহানা/ হাসনা