বিএনএ, ডেস্ক :যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর পালিত হবে আজ। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী।
মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।
পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ ছাড়া সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এর বাণী
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবে কদর আমাদের মাঝে সমাগত। মহিমান্বিত এই রজনিতে আমি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য মাগফেরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।’
তিনি বলেন, পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি। অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ্ এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন লাইলাতুল কদরে নাযিল হয়। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘আমি শবে কদর রাতে কুরআন নাযিল করেছি’। তাই মুসলিম উম্মাহর নিকট শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। এই মহিমান্বিত রজনি সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক- মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি।
আরও পড়ুন : শবে কদরের(২০২৩) দোয়া, ফজিলত ও আমল
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। আসুন, শবে কদরের এই পবিত্র রজনিতে আমরা এ সকল সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। আমি পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। সমগ্র বিশ্ব যেন মানবজাতির জন্য শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠে। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন। আমীন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বাণী
অন্যদিকে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও দোয়া
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনি। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাতে মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কুরআন পৃথিবীতে নাযিল হয়। পবিত্র কুরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতের মুক্তির পথ দেখায়।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।
পবিত্র এই রজনিতে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
বিএনএ/ ওজি, এসজিএন