30 C
আবহাওয়া
৯:৫৫ অপরাহ্ণ - আগস্ট ১০, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » চুয়েটে মাদকদ্রব্য সেবন: ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

চুয়েটে মাদকদ্রব্য সেবন: ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

মাদকদ্রব্য সেবনের কারণে চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন হল বহিষ্কার

বিএনএ,চট্টগ্রাম: আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক পাওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আট শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি তাদেরকে আবাসিক হল থেকেও চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গত ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮৬তম সভার (জরুরি) সিদ্ধান্তক্রমে গতকাল সোমবার কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ১৩ টি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মার্চ চুয়েটের শেখ রাসেল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ও হলের সহকারী প্রভোস্টগণ ২ টি কক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থী ও ১ জন ডাইনিং বয়কে সন্দেহভাজন অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে রুম দুটি তল্লাশি করে গাঁজা, সিগারেট ও গাঁজা সেবনের উপকরণ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শাস্তি প্রদান করে।

সূত্র জানায়, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তিনজন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের, তিনজন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এবং দুইজন পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি পুরকৌশল বিভাগের দুইজন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের একজন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের একজন এবং জৈব চিকিৎসা কৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালার বিধি অনুযায়ী আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা ওই শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বিএনএ নিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। মাদক নির্মূলে আমরা শুন্য নীতি অবলম্বন করছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদক মুক্ত রাখতে আমাদের পরিদর্শক দল ও প্রভোস্টরা আবাসিক হলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান রহমান এই ঘটনার ব্যপারে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে চুয়েট প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকুক।যেনো চুয়েট থেকে চিরতরে মাদক নির্মূল করা যায়। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে পূর্বে যারা মাদক কেলেঙ্কারির পরও বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হোক।কোনো অপরাধী যেনো পার না পায়।

বিএনএনিউজ/ আরএস

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ