বিএনএ, সাভার : যুগ যুগ ধরে ভালোবাসা নিয়ে কতই না ঘটে আসছে কাঙ্খিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রচিত হয়েছে ভালোবাসার গল্প। কিন্তু ভালোবাসা যদি হয় সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ! ব্যক্তি জীবন ও পরিবারের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড। তাহলে সে ভালোবাসা কি ভালোবাসা, নাকি সেটা সর্বনাশা!
অবৈধ ভালোবাসা নিয়ে নিদারুণ একটি চিত্র দেখা গেছে ঢাকার ধামরাইয়ে। উপজেলার আমতা ইউনিয়নের কাচারাজাপুর গ্রামের মৃত মবেদ আলীর ছেলে সৌদিপ্রবাসী ছালাম মিয়ার স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মর্জিনা আক্তার তেমনি একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছে। পরকীয়া প্রেমের জেরে দুই সন্তান রেখে রাজমিস্ত্রী রাজা মিয়ার সাথে চলে যান বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার ধামরাই থানায় এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সৌদিপ্রবাসী ছালাম মিয়ার মা খুশিমন (৬৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকালে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের মুন্সিচর গ্রামে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সর্বনাশার মারাত্মক ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়েছে ছালাম মিয়া নামের একজন সৌদিপ্রবাসী। দুটি মেয়ে সন্তান সালমা আক্তার (৯) ও তানজিদা আক্তার জান্নাত (৭) নিয়ে রয়েছে বিপাকে। কোমলমতি দুটি সন্তান রেখে ছালাম মিয়ার স্ত্রী অবৈধ ভালোবাসার টানে অন্যত্র চলে যাওয়াতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
সৌদিপ্রবাসী ছালাম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কিছুই বলার নেই। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। এমন একটি ঘটনা ঘটাবে তা আমি মানতে পারছি না। মর্জিনার যা লাগত আমি তাই পাঠিয়ে দিতাম। ওর (মর্জিনা) নামে ব্যাংক একাউন্ট করে টাকা পাঠাতাম। দেশে আসলে ওর এবং আমার মেয়েদের (সালমা ও জান্নাত) জন্য স্বর্ণের চেইন (গয়না) নিয়ে আসতাম। আমার ও মেয়েদের জীবন ধ্বংস করে সব সঞ্চয় ( টাকা, স্বর্ণালংকার) নিয়ে চলে গেছে। এমন জঘন্য কাজ করার আগে একটা বার মেয়েদের কথাও ভাবল না।
ছালাম মিয়ার মা খুশিমন বলেন, আমার ছেলে (ছালাম) ১৭ বছর ধরে বিদেশে (সৌদি) থাকে। গত ১১ বছর হয় ওকে (ছালাম) বিয়ে করাই। সুখের সংসার ও দুটি সন্তান রেখে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার নিয়ে রাজমিস্ত্রী রাজার সাথে চলে যাবে আমরা তা বুঝিনি।
মর্জিনার মেজ ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আমার বোনের সাথে রাজা মিয়ার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কতদিন ধরে সম্পর্ক তা জানি না। কয়েক মাস আগে রাজাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। এরপরও এধরনের ঘটনা ঘটবে তা আমরা কেউ বুঝতে পারি নাই। দুটি ছোট ছোট মেয়ে রেখে রাজার সাথে চলে যাবে তা কল্পনাতীত।
এদিকে রাজা মিয়ার চাচা হালিম মেম্বার বলেন, রাজা অনেক ভালো ছেলে। এলাকায় কেউ খারাপ বলতে পারবে না। কিন্তু রাজা এধরনের কাজ করবে এটা সত্যিই দুঃখজনক। আমরা চেষ্টা করতেছি ওদেরকে খুঁজে বের করতে।
এ ব্যাপারে কাওয়ালিপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক জানা যাবে এর মূল কারণ।
বিএনএ/ইমরান খান,ওজি