চট্টগ্রাম: পবিত্র মেরাজ উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন কুঞ্জছায়া আশেকে মদিনা যুব কমিটির উদ্যোগে গত ১৬ জানুয়ারী আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মোহাম্মদ শাহ আলম কন্ট্রাক্টর।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নওশাদ চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
প্রধান আলোচক ছিলেন কুমিল্লা বি.পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ কারী মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন জালালী আল কাদেরী (দা.বা.আ.), বিশেষ আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম পটিয়া ওয়াহিদ আলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন কাদেরী, (দা.বা.আ.)।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুঞ্জছায়া আবাসিকের সহ-সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সমবায় আবাসিক এর সহ-সভাপতি আলহাজ সৈয়দ মোহাম্মদ আলতাব উদ্দিন আহম্মদ, মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর সিকদার, কেজিডিসিএল সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সমাজসেবক মোহাম্মদ সোলায়মান, আশেকে মদিনা যুব কমিটির সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ গুলজার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ খোকন, মোহাম্মদ সোহেল, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ আমির।
মাহফিল পরিচালনা করেন কুঞ্জছায়া শাহী জামে মসজিদের নায়েবে ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক আল কাদেরী।
আলোচকগণ বলেন, ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয়।
মেরাজে মহানবী (সা.) সৃষ্টিজগতের সব কিছুর রহস্য অবলোকন করেন। মেরাজ থেকে আল্লাহর রসুল (সা.) উম্মতে মোহাম্মদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে ফিরে পৃথিবীতে আসেন। অন্য কোনো নবী এমন সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।
ইসলামের ইতিহাস-অনুযায়ী মুহাম্মাদ (সা:) এর নবুওয়াতের দশম বৎসরে (৬২১ খ্রিষ্টাব্দ) এক রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ(সা.) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। এটাকে কুরআনের ভাষায় ইসরা বলা হয়। সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। এটাকে মেরাজ বলা হয়। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। নবী মুহাম্মদ (সা:) এর আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) তার সফরসঙ্গী ছিলেন।
মেরাজুন্নবী (সা.)’ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য উল্লেখ করে আলোচকগণ উল্লেখ করেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন: ‘তিনি পবিত্র (আল্লাহ) যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি। যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা-১৭ [৫০] ইসরা-বনি ইসরাইল, রুকু: ১, আয়াত: ১, পারা: ১৫, পৃষ্ঠা ২৮৩/১)।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন