20 C
আবহাওয়া
১০:২০ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ভাবনা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ভাবনা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত


বিএনএ, চবি: কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্থ রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রামে আয়োজিত হয়েছে ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্রভাবনা’ নাগরিক সংলাপ।

শনিবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের জিইসিতে কপার চিমনি  রেস্টুরেন্টে সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্র ( সেন্টার ফর সোস্যাল এন্ড পলিটিক্যাল থট, সিএসপিটি) এর উদ্যোগে এই নাগরিক সংলাপের আয়োজন করা হয়।

এতে ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বক্তারা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকর ভূমিকায় করণীয়, দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াসহ জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে বিরাজনীতিকরণ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে মতামত ব্যক্ত করা হয়।

সংলাপে সিএসপিটি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের ড. মো. ফুয়াদ হাসান, চবি লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন, প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল হক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক লতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমীর নসরুল্লাহ এবং দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা ও শিক্ষার্থীরাও এতে বক্তব্য রাখেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, দেশের সকল স্থান থেকে দুর্নীতি রোধ করতে পারলেই আমরা একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে পারবো। বাংলাদেশের সব দল, মতের সকলকে আহ্বান করবো আপনারা দেশ সংস্কার করার জন্য যে সময়টুকু প্রয়োজন তা আমাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিবেন। সংস্কারের কাজ শেষ হলেই সরকার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিবেন।

উচ্চশিক্ষা নিয়ে অধ্যাপক রিজওয়ানুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল নিয়োগগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ চালু নেই। মানসম্মত স্কেল চালু করলে বাইরে পড়াশোনা করা অধিক যোগ্যতাসম্মপন্ন শিক্ষক আনা সম্ভব আমাদের। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন স্টাফ নেই। শহরের প্রাইমারি স্কুলগুলো। যেসকল শিক্ষকদের মোটিভেশন নাই তারা শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারবে না। ল্যাব সুবিধা, নিয়মিত বিজ্ঞান মেলা ইত্যাদি কারিকুলাম করতে হবে। কলেজে ইন্টারমিডিয়েটটা ভালোভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

সংলাপে শিক্ষানীতি নিয়ে চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার রন্দ্রে রন্দ্রে সমস্যা। ১১-১২ বছরে যৌনশিক্ষার অবাধ জানাশুনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিবর্তনবাদ, ট্রান্সজেন্ডার, এখানে সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ম শিক্ষাকে উপেক্ষা করা হয়েছে সব সময়। আমাদের প্রস্তাবনা, কলাম, বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরতে হবে। দেশের বৈশ্বিক শক্তির প্রভাব যাতে বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে। নতুন কারিকুলামের ত্রুটিগুলো বিভিন্ন ভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে৷ সরকারকে বুঝাতে হবে। ৪ কোটি ছাত্রছাত্রী দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, নিজের নেতাদের কাছ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে সব নাগরিকের এবং এটাও জনগণের মৌলিক অধিকার। কোরিয়ায় এক প্রবাদ আছে, “তোমার হাতে যতগুলোই সুন্দর মুক্তা থাকুক না কেন, এগুলো যদি একসঙ্গে একই সুতোয় না গাঁথো, তাহলে কখনোই একটা সুন্দর গলার হার বানাতে পারবে না”। আমাদের দেশের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা একাকী কোনো দলের বা গোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব না। এ জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যারা একসঙ্গে কাজ করবে তাদের সামনেই রয়েছে সুন্দর ভবিষ্যৎ।

সংলাপে শিক্ষকদের মধ্যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ে কথা বলেন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সংকট ও বৈষম্য নিরসনের আলোচনা করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, উচ্চশিক্ষা নিয়ে রিজওয়ানুল হক। এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিএনএ/সুমন, ওজি/ এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ