বিএনএ ডেস্ক: ঢাকা ওয়াসার বহুল আলোচিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে বেতন-ভাতাসহ কী কী সুবিধা পেয়েছেন-তার হিসাব চেয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৭ আগস্ট) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেন।
রুলে সেবাদানে ব্যর্থতার পরেও ওয়াসার এমডিকে অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) আহ্বায়ক, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে আছেন তাকসিম এ খান। নিয়োগের পর থেকে বিভিন্ন সময় আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। প্রথম নিয়োগের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
বিদেশে বসে অফিস করা নিয়েও সমালোচিত তাকসিম এ খান। সম্প্রতি ফের অফিস করতে দুই মাসের ‘ভার্চুয়াল অফিসের’ অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। তবে তা বোর্ড নাকচ করে দেয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই দুই মাস ভার্চুয়াল অফিসের অনুমতি নিয়ে আমেরিকা যান ঢাকা ওয়াসা এমডি। দুই মাসের অনুমতি থাকলেও সেখানে থেকে তিন মাস ভার্চুয়াল অফিস করেন।
বিএনএ/এ আর