30 C
আবহাওয়া
২:০৩ পূর্বাহ্ণ - জুন ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » হিরো আলমের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৪

হিরো আলমের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৪


বিএনএ, ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হিরো আলম। বিভিন্ন কেন্দ্রে নিজের এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে হিরো আলম বলেন, যেহেতু আমার এজেন্টের গায়ে হাত দিয়েছে, তাহলে আমার গায়েও যে হাত দেবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে?

ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। তখনো পিছু নেন তাঁরা।

স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বেরোনোর পরে হিরো আলমের পাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন না। স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে দিয়ে সোজা বনানী ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগোতে থাকেন হিরো আলম। একপর্যায়ে নৌকার ব্যাজধারীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। তখন তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাঁরা।

হিরো আলমের সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে সামনের দিকে নিয়ে যান। তবে তারপরও অনেক দূর পর্যন্ত হিরো আলমকে পেছন থেকে ধাওয়া করেন হামলাকারীরা। এ সময় তাঁদের একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘সে (হিরো আলম) করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে?’ কেউ কেউ আবার বলছিলেন, ‘তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।’

এ সময় প্রায় ৫০ জনের বেশি যুবক ৩০ সেকেন্ড ধরে তাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন। হিরো আলমের সমর্থকরা তাকে দ্রুত তুলে নিয়ে দৌড় দিলে নৌকার সমর্থকরা তাদের পেছন পেছন যায়। বারবার হামলার এক পর্যায়ে হিরো আলমের সমর্থকরা দ্রুত বনানীর দিকে চলে যান। বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে একটি স্থানে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে  সেখানে পৌঁছালে তার গাড়িতে করে চলে যান।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ বলেছে, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোপুরি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ঘটে এবং এতে কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এদিকে, হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান জানিয়েছেন, একতারা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ভিডিও দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।’

উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম ছিল।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির (জাপা) সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, হিরো আলম গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ