বিশ্ব ডেস্ক: ইরান ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তাতে অন্তত ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এগুলো দুটি বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ওই দুটি বিমান ঘাঁটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজকে একথা জানিয়েছেন।
এদিকে এবিসি নিউজের সোমবারের প্রতিবেদনে অস্বীকার করেছে আইডিএফ , যে রবিবার ভোরে ইরানি হামলা ইসরায়েলের নেভাটিম এয়ারবেসের প্রধান রানওয়ে, একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান এবং বেসের বেশ কয়েকটি স্টোরেজ সুবিধার ক্ষতি করেছে।
এবিসি রিপোর্ট অনুসারে, ক্ষয়ক্ষতি নগণ্য নয় কিন্তু ইরান যা করতে চেয়েছিল তার থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান তেহরানে রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিদের একটি বক্তৃতায় বলেছেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের সামরিক অভিযান সীমিত এবং F-35 বিমানের স্কোয়াড্রনের লক্ষ্য ছিল। আমাদের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করে এবং যেকোনো আক্রমণের মুখে আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষা করতে দ্বিধা করব না।”
নিউইয়র্ক ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলটি সোমবার জানায়, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে এবং এতে ইসরাইলের একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান ধ্বংস হয়। মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান, আরো চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে তবে তাতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার দিবাগত রাতে ইরান কয়েকশো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। গত ১ এপ্রিল ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইরান শনিবার রাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। সূত্র : পার্স টুডে ও জেরুজালেম পোস্ট।
বিএনএ, এসজিএন/হাসনা