বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: পুলিশের ভেরিফিকেশন ও ডোপ টেস্টের জাল সনদ বানিয়ে বিআরটিএ’র একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দিচ্ছিল একটি দালাল চক্র। এ জন্য মিরপুর মাজার রোডে বিআরটিএ’র অফিসও খোলা হয়। এর সঙ্গে জড়িত দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার জনান, সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৫৯টি ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন জব্দ করা হয়েছে। এতে তুরাগের বিআরটিএ কার্যালয়ের চার কর্মকর্তার সিল ও সই রয়েছে। এ ছাড়া ডোপ টেস্টের ১৫টি আবেদন, কম্পিউটারের মনিটর, সিপিইউ, কি-বোর্ড, কালার প্রিন্টার, বিভিন্ন ধরনের সিল ও মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লিটন পাইক (৪০), সুজন পাইক (২৯), হাসান শেখ ওরফে আকচান (৪১), মোহাম্মদ আলী ওরফে মিস্টার (৫১), হুমায়ন কবির (৩৮), আবদুল খালেক (৩১), আবদুল্লাহ রনি (২৩), সোহেল রানা (২৩), মো. সোহাগ (২৩) ও মো. নুরনবী (৩৮)।
হাফিজ আক্তার বলেন, মিরপুর মাজার রোডে মুন্সী লাল মিয়া ওয়াক্ফ এস্টেটের দ্বিতীয় তলায় লিটন পাইক বিআরটিএ’র ভুয়া অফিস খোলে। মোটরসাইকেল, হালকা, মিডিয়াম ও ভারী যানের প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ১০-১২ হাজার টাকা নিতেন লিটন পাইক। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা ব্যক্তিরা লিটনের এই অফিসকে বিআরটিএ অফিস বলেই জানতেন।
লিটনের নেতৃত্বে দালালেরা জাল ভেরিফিকেশন রিপোর্ট ও ডোপ টেস্টের জাল সনদ তৈরির আবেদনপত্র দিয়াবাড়ি বিআরটিএ কার্যালয়ে তাঁদের কমিশনভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে জমা দিতেন। ওই সনদে পুলিশ কর্মকর্তার যে বিপি নম্বর উল্লেখ করা হয়, তা ভুয়া। এসব জেনেশুনে দিয়াবাড়ি কার্যালয়ের বিআরটিএর একশ্রেণির কর্মকর্তারা এ আবেদন গ্রহণ করতেন। তাঁরা আবেদনকারীকে লিখিত, মৌখিক ও মাঠে যান চালানোর পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে পাস করিয়ে দিতেন। জনান, একাজে বিআরটিএ’র জড়িতের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ডিবির এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১০ দালালের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করেছেন।
বিএনএ/ এ আর