20 C
আবহাওয়া
৮:৪৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » গুইমারাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

গুইমারাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে


বিএনএ, খাগড়াছড়ি :খাগড়াছড়িতে ডেঙ্গুর  প্রকোপ বাড়ছে। মশা বাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। গুইমারাতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা। নবগঠিত উপজেলা হওয়ায় নেই কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পার হলেও ১১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ৫০হাজার মানুষের জন্য এখনো গড়ে ওঠেনি উপজেলা হাসপাতাল। সরকারিভাবে উপজেলা পর্যায়ে কোনো হাসপাতাল না থাকার কারণে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।

উপজেলার সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা পেতে গুইমারার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জ্বরসহ শরীর ব্যথা ও বমির উপসর্গ থাকলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেনা রোগীরা। গুইমারাতে নেই কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাই সঠিকভাবে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত সম্ভব হচ্ছেনা। গুইমারা উপজেলায় চলতি মাসে একশোরও বেশী ডেঙ্গু রোগীর তথ্য পাওয়া গেছে। হাফছড়ি ইউনিয়নকে ডেঙ্গুর হটস্পট মনে করা হচ্ছে। হাফছড়ির বড়পিলাক এলাকায় ডেঙ্গু রোগে মৃত্যু হয়েছে একজনের। বড়পিলাক এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০জন ছাড়িয়েছে। আশংকাজনকভাবে নুরু নামের একজনকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকেই স্থানীয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। গুইমারা বাজারে প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডা. জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন এমবিবিএস ডাক্তার আসেন। চিকিৎসা দেন প্রাইভেট চেম্বারে।

ডেঙ্গু রোগের তথ্য জানতে চাইলে তিনি জানান, গত এক মাসে ৫০ জনের অধিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। অনেকে সুস্থ হয়েছেন। অনেক রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মাটিরাঙ্গায় বাড়ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোগটি ইতোমধ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, গত জুন মাস থেকে মাটিরাঙায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। জুলাই মাসে শনাক্ত বেড়ে হয় ৩২ জন। ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে ও ৯ জনকে উন্নত জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশির ভাগই মাটিরাঙার চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা। তাছাড়া ওই এলাকায় প্রায় সবার ঘরে জ্বরসহ ডেঙ্গু রোগাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। অনেকেই ভয়ে রক্ত পরীক্ষা না করে ডেঙ্গু হবার সন্দেহে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকায় ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ জনে। বর্তমানেও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছে।

গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পার হলেও উপজেলা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বলেন, হাসপাতালের জন্য একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়েছে। শীগ্রই সুখবর পাব আশা করি।

গুইমারা বিজিবি হাসপাতালের পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাইদুজ্জামান জানান, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে সরকারিভাবে ৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। ৮ জন ডেঙ্গু রোগী প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন বলে জানান তিনি।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মো: ছাবের  মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানান, সাম্প্রতিক  সময়ে পুরো জেলায় ৭৬জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সবাই সুস্থ হয়েছেন। মৃত্যুর কোন তথ্য নেই।

বিএনএ/ আনোয়ার, ওজি/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ