বিএনএ ডেস্ক: ‘ভারত সরকারিভাবে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি, তবে বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তারা রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এমন কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রবিবার (১৫ মে) দুপুরে সিলেটে সদর খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। এ দুই দেশের যুদ্ধের সময়ে আমরা সম্প্রতি ভারত থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। বন্ধ করলেও তা এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পরে উঠিয়ে নেবে কারণ তাদের গম বিক্রি করতে হবে। তাই পরবর্তীতে যা দরকার তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে।’
দেশে কোনোভাবেই খাদ্য সংকট দেখা দেবে না দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এ থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী মজুদ গড়ে উঠবে। গত আউশ ও আমন ধানেরও প্রচুর মজুদ রয়েছে এবং বৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত এক বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হয়নি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে।’
সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা আর বাড়ানো হবে না।’
খাদ্যমন্ত্রী জানান, সিলেটে ধান ও চাল সংরক্ষণের জন্য সরকার ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
বিএনএ/এ আর
