বিএনএ ডেস্ক: চট্টগ্রামের সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রির হাটের ব্যবসায়ী মেসার্স আসআদ প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ইলিয়াছ হোসেন ৬ হাজার ৪০০ লিটার লুকিয়ে রেখেছিলেন। গত মার্চে খোলা পাম তেল কিনেছিলেন প্রতি লিটার ১৩০ টাকা দরে। আর খোলা সয়াবিন লিটার কেনেন ১৩৬ টাকায়। মজুদ করা ৬ হাজার ৪০০ লিটার তেল এত দিন তিনি বিক্রি করেননি। লুকিয়ে রাখেন গুদাম, দোকান ও রাস্তার একপাশে।
রবিবার (১৫ মে) র্যাব-৭ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এসব তেল উদ্ধার করে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এসময় ইলিয়াছ হোসেনকে জরিমানা করা হয় আড়াই লাখ টাকা। র্যাব জানায়, ইলিয়াস হোসেন বেশি লাভের আশায় এসব তেল মজুত করেছিলেন। এখন দাম বাড়ার পর কম দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রি করা শুরু করেন তিনি।
র্যাব জানায়, দোকানি মো. ইলিয়াস হোসেন অবৈধভাবে তেল মজুতের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জরিমানার পাশাপাশি এসব তেল পুরোনো দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন জানান, চারদিকে অভিযানের খবর পেয়ে ইলিয়াস হোসেন গুদাম থেকে কিছু তেল দোকানে নিয়ে আসেন। কিছু তেল রাখেন দোকান থেকে একটু দূরে রাস্তার পাশে। তাঁর দোকানে পাওয়া যায় ২ হাজার ২০০ লিটার, গুদামে ১ হাজার লিটার ও রাস্তার পাশ থেকে ৩ হাজার ২০০ লিটার। বেশি লাভের আশায় এসব তেল মজুত করেন তিনি।
তেলের নতুন দর
গত ৫ মে বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১৯৮ টাকা, যা আগে ছিল ১৬০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৮৫ টাকা, যা আগে ছিল ৭৬০ টাকা।
এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা ও পাম তেল ছিল ১৩০ টাকা।
বিএনএ/এ আর