।।ইয়াসীন হীরা।।
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক অবস্থা দেখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ উল্লাসিত! ১০মে (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পরিণতি শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে। শ্রীলঙ্কায় সবাই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেখেন এরা (আওয়ামী লীগ সরকার) বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে’!
আসলে কী বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে? ভূ–রাজনীতি ও চাণক্য সূত্র কী তাই বলে? ফখরুলের দল বিএনপি কী ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে এসে গেছে? এমন তীর্যক প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম এবং তার দল এর আগে অন্তত: অর্ধডজন বার উল্লাস প্রকাশ করেছিল। প্রত্যেকবার ক্ষমতার সিংহাসনে বসে গেছেন এমন ভাব করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালিন বিডিআরদের একটি গ্রুপ দ্বারা সংগঠিত বিদ্রোহের সময়। ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে হেফাজত ইসলামের ‘ঢাকা ঘেরাও’ এর নামে শাপলা চত্ত্বরে তান্ডব চলাকালে। ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতে কংগ্রেসকে হারিয়ে মোদী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর। ২০২০ সালের নভেম্বরে আমেরিকায় জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এবং ২০২১ সালের আগষ্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ১২ মে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র মহাসচিব যত সহজে অঙ্ক কষেছেন। অঙ্কটা তত সোজা নয়। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে যাবে? রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে দিবে? আর ফখরুলের দল ক্ষমতার মসনদে আরোহণ করবে। এ স্বপ্ন তিনি দেখতেই পারেন! যা গত ১৪ বছর তিনি ধারাবাহিকভাবে দেখেই চলেছেন।
রাজনীতির সূত্রানুসারে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় তিন পদ্ধতিতে ।প্রথমত. জনরায় (ভোট), দ্বিতীয়ত. গণঅভ্যূ ত্থান, তৃতীয়ত. সেনা অভ্যূত্থান এর মাধ্যেম। বিএনপি কোন পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যেতে চায়? বাংলাদেশে সরাসরি সেনা অভ্যুন্থান এর সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদিও ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের ১৮ বছর কেটেছে সেনা শাসনে। ক্ষমতার মসনদে যেতে হলে মীর্জা ফখরুল ইসলামের দলের জন্য জনরায় এবং গণঅভ্যুন্থান খোলা আছে। এর মধ্য ফখরুল ইসলামের দল বন্ধ করে দিয়েছে জনরায়ের বিষয়টি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি যে, বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে এতটুকু ফাঁকফোকর কিচ্ছু নেই। এই সরকারকে যেতে হবে, ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার পরে তবেই শুধু একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, পরিবেশ তৈরি হবে।’
১২ মে বিএনপি মহাসচিব আবার বলেছেন, দলের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সাদা চোখে আগামী বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি! তাহলে বিএনপি গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করবে? সেই ক্ষমতা কী বিএনপি’র রয়েছে?লন্ডন থেকে ডাক দিলেই কীঅভ্যূত্থান হয়ে যাবে? গত ১৪ বছরের ইতিহাস তা সেই সাক্ষ্য দেয় না ।
বিএনপি মহাসচিব কীভাবে ক্ষমতায় যেতে যান? কেউ কী নাযিল হবেন বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে?নাযিল হলে হতেও পারেন। ! তবে ভূ রাজনীতি তেমনটা বলে না ।
বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলামের দল আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাবে। আওয়ামী লীগও নমনীয় হবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য বিষয়ে ছাড় দিবে। চলমান ভূ- রাজনীতির গতি-প্রকৃতি থেকে সেটা অনুমান করা যায়। সে বিষয়ে অন্যদিন আলোচনা হবে।
এবার আলোচনায় আসা যাক কী কারণে শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতাসীন দলকে বিপর্যেয় পড়েত হয়েছে। একটি দেশের সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য Legitimacy (বৈধতা) এবং effectiveness (কার্যকারিতা) প্রয়োজন ।বৈধতা বলতে জনরায় (ভোট) এবং কার্যকারিতা বলতে জনবান্ধব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে বুঝায়।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে সরকারের বৈধতা থাকলেও কার্যকারিতার সংকট ছিল প্রবল। এ জন্য রাজাপাকসের দূরদর্শীতার অভাব এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত গ্রহণই দায়ি। তার সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য আত্মঘাতি ছিল। ফলে অর্থনৈতিক সংকট পরবর্তীতে রাজনৈতিক সংকটে পরিণত হয়।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক– অর্থনৈতিক বিপর্যেয়র জন্য ৬টি কারণ চিহ্নিত করেছেন।১.আয়কর এবং ভ্যাট কমানো ,২. কৃষিকাজে সার ও কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ, ৩. বিলাসী মেঘাপ্রকল্প গ্রহণ, ৪. পর্যটন ব্যবসায় ধস, ৫. বিদেশী রেমিডেন্স প্রবাহ কমে যাওয়া ৬. অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ।
২০০৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে ভ্যাট ট্যাক্স কমিয়ে অর্থনীতিতে সুফল পেয়েছিলেন। সে সূত্র অনুসরণ করে সদ্য পদত্যাগী গোটাবায়া রাজাপাকসে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে রাজাপাকসে ক্ষমতাসীন হবার পর দেশটিতে ভ্যাট এবং ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। ভ্যাট ট্যাক্স প্রদানের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। সেই ৮ শতাংশ ভ্যাট ট্যাক্সও যথাযথভাবে আদায় হয়নি।
ফলে রাজস্ব আয় ২৫ শতাংশ কমে যায় ।ট্যাক্স কমানোর ফলে সরকারের আয় কমে যায়। এটি ছিল মারাত্বক ভুল সিদ্ধান্ত।
ভ্যাট ট্যাক্স কমানোর এমন সিদ্ধান্তের কিছুদিনের মধ্য করোনা মহামারি শুরু হয়। এতে শ্রীলঙ্কার প্রধান আয়ের ক্ষেত্র পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় নেমে আসে। চীনা পর্যটকরাই শ্রীলঙ্কায় বেশি আসতো। তারা শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ বন্ধ করে দেয়। কলকারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেকটি বড় জায়গা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে কর্মরত শ্রীলংকার নাগরিকদের পাঠনো ডলার। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির সময় খাতটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার প্রভাব পড়েছে দেশটির বৃহত্তম বন্দর কলম্বোর আয়েও।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গেছে।
এছাড়া সরকার গত ১৫ বছরে শ্রীলংকা বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে। এ জন্য বিপুল ঋণ গ্রহণ করতে হয়। মেগা প্রকল্প গুলো শ্রীলঙ্কার জন্য ‘শ্বেতহস্তীতে‘ রূপান্তরিত হয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, রাস্তা এবং আরো নানা ধরণের প্রকল্প।
রাজধানী কলম্বোর কাছেই সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে কলম্বো পোর্ট সিটি নামে আরেকটি শহর তৈরি করা হচ্ছে। ২৫ বছরের এই বিলাসী প্রকল্পটি অর্থনীতিকে নাজুক করার বড় কারণ। চীনা বুদ্ধিতে সমু্দ্র ভূমি উদ্ধার করে হংকং, দুবাই এবং সিঙ্গাপুর এর সমকক্ষ হতে চেয়েছিল শ্রীলংকা। বিশেষ করে কলম্বো পোর্ট সিটি, হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর। হাম্বানটোটায় নতুন একটি এয়ারপোর্ট তৈরি করা হলেও সেটি কার্যত অব্যবহৃত।
বিশেষ করে অলাভজক খাতে ঋণ শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়। চীন হচ্ছে শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। চীন ছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মুদ্রা বাজার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং জাপানের কাছ থেকেও ঋণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া দেশীয় উৎস থেকেও সরকার ঋণ করেছে।
ঋণের অর্থ অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। এই অর্থ কিভাবে পরিশোধ করা হবে সে ব্যাপারে খুব একটা চিন্তা-ভাবনা করেনি। আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ পেতে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে দেশটি। বর্তমানে মার্কিন এক ডলারের বিপরীতে শ্রীলংকার মুদ্রা ২৩০ রূপি।
২০০৭ সাল থেকে দেশটির সরকার অর্থ জোগাড়ের জন্য সার্বভৌম বন্ড ইস্যু করেছ। আন্তর্জাতিক সার্বভৈৗম বন্ড বাবদ শ্রীলংকার ঋন রয়েছে এখন সাড়ে বারো বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে। যে কারণে দেশটি জ্বালানী তেল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে শ্রীলংকা ঋণ নিয়েছে। বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও অনেক প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়নি। বিগত ১৫ বছরে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়নি বললে চলে।
দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞদের কোনো মতামত ছাড়াই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশে অর্গানিক কৃষি চালু করেন। কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু কৃষক জৈব কম্পোস্ট সারও পায়নি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল কৃষিক্ষেত্রে। ফলন বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে চালের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
দেশজুড়ে খাদ্যঘাটতিও প্রকট আকার ধারণ করে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে আনার জন্য সরকার ২০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ শ্রীলংকা বাধ্য হয় ৪৫০মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করতে। বেড়ে যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ চালের দাম।
অর্গানিক কৃষির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল দেশটির চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে। চা রপ্তানি করে শ্রীলংকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। কিন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়। অর্গানিক কৃষির এ সিদ্ধান্তটি ছিল বড় ধরনের ভুল।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শ্রীলঙ্কা যেসব কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তা বাংলাদেশে অনুপস্থিত।যেমন বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য উৎপাদন প্রতিবছরই বেড়ে চলেছে। অরগানিক ফার্মিং পদ্ধতি চালু করেনি। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার।
বাংলাদেশের আয়ের মূল খাত তৈরি পোষাক (আরএমজি) সেক্টরের আয় আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অভিবাসী রেমিট্যান্সেও ধস নামেনি। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশ সরকার ভ্যাট টেক্স কমায়নি বরং বাড়িয়েছে!
দেশের পর্যটন খাত এখনও শ্রীলঙ্কার মতো বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। ফলে মহামারি করোনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এর হিসাবও নেই।
অনেকে বাংলাদেশের মেগাপ্রেজক্ট নিয়ে কথা বলেছেন। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে যেসব মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করেছেন তা বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিকে সংকোচিত করবে না বরং আরও বেগবান করবে। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মতো প্রজেক্ট বিশ্বদরবারে আমাদের ইমেজকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি চলতি বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সেতু দেশের অর্থনীতির চাঙ্গা হতে সহায়তা করবে। উত্তরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য খুব সহজে সস্থায় রাজধানীর ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাবে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে। সাশ্রয় হবে লাখ লাখ শ্রমঘন্টা। বর্ষাকালে বন্ধ হবে নৌদুর্ঘটনা।
মেট্রোরেল কিংবা কর্ণফুলী(বঙ্গবন্ধু) টানেল, চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল, কুতুবদিয়ার মাতারবাড়ি বিদু্যত কেন্দ্র, মিরসরাই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চল সময়ের দাবি ছিল। এ সব প্রকল্প অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখবে এতে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের ঋণ বৃদ্ধির সঙ্গে সক্ষমতা ও রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিছু অপ্রোয়জনীয় প্রকল্পতো রয়েছে। যেমন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বুলেট ট্রেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প; পূর্বাচলে ১১০ তলাবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু বহুতল ভবন কমপ্লেক্স; শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; নোয়াখালী বিমানবন্দর নির্মানের মতো মেগা প্রজেক্ট গুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা হবে কী না তা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মাধ্যেম ভালভাবে যাচাই করা প্রয়োজন।