বিশ্ব ডেস্ক: নেপালের পোখরায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের(এটিআর-৭২ )একটি বিমান ৭২ জন আরোহী নিয়ে শেটি নদীর উপত্যাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে উড়োজাহাজটি রাজধানী কাঠমন্ডু থেকে পোখরার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। বিমানটিতে ৬৮ জন যাত্রী, ২জন পাইলট ও ২জন এয়ার হোস্টেজ ছিলেন।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখনই জানি না কেউ বেঁচে আছে কিনা।’ সেখানে ২জন পাইলট,২জন এয়ার হোস্টেজ এবং ৬৮জন যাত্রী ছিল।
যাত্রীদের মধ্যে ৩জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তিনটি শিশু এবং ৬২জন পূর্ণ বয়স্ক। পোখারার পুরাতন বিমানবন্দর এবং নতুন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী স্থানে শেটি নদীর উপত্যাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়।
কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে প্রাথমিকভাবে সে বিষয়ে কেউ মন্তব্য করেন নি। ইয়েতি এয়ারলাইনস বা নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে আগুন জ্বলতে থাকায় তা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিমানের আরোহীদের কেউ বেঁচে আছেন কিনা জানা যায়নি।
নেপালের কাচকি জেলার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা টেক বাহাদুর কেসি দুর্ঘটনার বিষয়ে সরকারকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, শেটি নদীর উপত্যাকায় বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। স্থানীয় সকল হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ডাকা হয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুস্ফ কামাল দাহাল প্রাচান্দ অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত রাজধানীর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে রওয়ানা হন। তাছাড়া তিনি জরুরি মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন।সূত্র : আরএসএস,কাঠমান্ডু টাইমস।
গত ৩০বছরে নেপালে ২৭টি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের ২৯মে তারা এয়ারের বিমান দুর্ঘটনায় ২২জন মারা যায়। ২০১৯সালের ১৪এপ্রিল সামিট এয়ারের বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ৩জন। ২০১৮সালের ১২মার্চ বাংলাদেশের ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় ৪৯জন যাত্রী নেপালে মারা যান। ২০১৬সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তারা এয়ারের অপর বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ২৩জন।
বিএনএ নিউজ২৪/ এমএইচ,এসজিএন