বিএনএ, নেত্রকোনা : নেত্রকোনার বারহাট্টায় বাকীতে আসবাবপত্র দিতে অস্বীকার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারধোরের অভিযোগে শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে। হামলায় আহত অন্যদের মধ্যে আল আমীন (৪৬), সোহাগ মিয়া (২২), সাইদুল ইসলাম (৪৮), নুকুল চন্দ্র দাস (২৫) ও অন্তর মিয়া (২০) বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে উপজেলার নৈহাটী গ্রামের আমান আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন (৫২) নৈহাটীবাজারের আসবাবপত্র ব্যবসায়ী সুজন চন্দ্র দাসের দোকানে ১৬ হাজার টাকা মূল্যে একটি কাঠের খাটের অর্ডার দেন। অর্ডার দেওয়ার সময় তিনি ১১ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করেন এবং অবশিষ্ট ৫ হাজার টাকা খাট সরবরাহ নেওয়ার সময় পরিশোধ করবেন বলে ব্যবসায়ীকে আশ্বস্ত করেন। নাজিম উদ্দিন বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে দোকানে আসেন এবং বাকী টাকা পরিশোধ না করেই খাট নিয়ে যেতে চান। এ সময় সুজন চন্দ্র দাস দোকানে ছিলেন না। কর্মাচারী নুকুল চন্দ্র দাস বাকীতে খাট দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্দ হয়ে নাজিম উদিন ও তার লোকজন নুকুল চন্দ্র দাসকে মারধর ও তার দুই হাত বেঁধে বাজারের রাস্তা দিয়ে হাঁটায়।
বিষয়টির মীমাংসার জন্য বিকেলে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সালিশের আয়োজন করা হয়। এ সময় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে উভয়পক্ষের কমপক্ষে এগার ব্যক্তি আহত হয়।
সুজন চন্দ্র দাসের অভিযোগ, বুধবার সকালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম খানের ভাই আল আমীন খানসহ নৈহাটী গ্রাম ও বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসে বসেন। শালিস চলাকালে মানিক মিয়া, ছোটন মিয়া, দীপক দাস, নাজিম উদ্দিন, বিশ্ব প্রভৃতি লোকজন আল আমীন খানের উপর হামলা চালায়। এ সময় অনেকেই আহত হয়।
পলাতক থাকায় অভিযুক্ত কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নাই।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, নৈহাটীবাজারের ঘটনায় সুজন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে শুক্রবার মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে সর্বাত্নক চেষ্ঠা চলছে। এলাকায় নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ ফেরদৌস আহমাদ বাবুল/এইচ.এম।