ইনডেমনিটি বিল পাসের মাধ্যমে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয় : মিজানুর রহমান মজুমদার
17 C
আবহাওয়া
৪:১৮ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ইনডেমনিটি বিল পাসের মাধ্যমে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয় : মিজানুর রহমান মজুমদার

ইনডেমনিটি বিল পাসের মাধ্যমে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয় : মিজানুর রহমান মজুমদার

ইনডেমনিটি বিল পাসের মাধ্যমে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয় : মিজানুর রহমান মজুমদার

বিএনএ, ফেনী :স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ছাগলনাইয়া উপজেলার চাঁদগাজী জব্বারিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার ( ১৪ আগস্ট ) সকালে মাদ্রাসা মাঠে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ফেনী জেলা শাখার সদস্য ও মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ডডেন্ট মাওলানা আলহাজ্ব মো. হোছাইন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) সম্পাদক, পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও মাদ্রসা সভাপতি শিল্পপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মজুমদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মহামায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিনু, মহামায়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও সাংবাদিক সেলিম আক্তার পিয়াল। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক নুরুল করিম চৌধুরী সবুজ, মাওলানা রুহুল আমিন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার প্রমূখ।

মোনাজাত পরিচালনা করেন দেবপুর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়েজ আহমদ মজুমদার, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা শফিক আহমেদ। অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, ১৯৭৯ সালের ৯জুলাই জাতীয় সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের রক্ষায় পাস হয় মানবতাবিরোধী ইমডেমনিটি আইন। যার মাধ্যমে দেশে শুরু হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এই হত্যাকান্ডের বিচার আমাদের প্রাপ্য ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাত ধরে ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুখ্যাত ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে।

“এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বা পরিকল্পনার সাথে জড়িত কারো বিরুদ্ধে কোন আদালতে মামলা করা যাবেনা। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট বা কোর্ট মার্শালেও তাদের বিচার করা যাবেনা। শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও রুদ্ধ করা হয় অধ্যাদেশে। বাংলাদেশের সংবিধানে হত্যাকান্ডের বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে আদেশটিকে আইনে পরিণত করেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান।”

তিনি আরও বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে খুনিদের শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হয়। দেয়া হয় বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি। দূতাবাসের চাকরির পাশাপাশি মহান পবিত্র সংসদেও ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে প্রতিনিধিত্ব করে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইনটি বাতিল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকার। আর এভাবেই খুলে যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের পথ। এর ধারাবাহিকতায় বাঙালি জাতি হয় কলঙ্কমুক্ত।

বিএনএনিউজ২৪.কম/এবিএম নিজাম উদ্দিন/এনএএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ