বিএনএ ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে দুই কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ দুইটি একই আড়ায় ঝুলে ছিল।
শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
সোহানা খাতুন (১৪) নামে ওই কিশোরী নিজের ওড়না আর আবু সাইদ (১৭) নামে ওই কিশোরের মরদেহ গামছা বাধা অবস্থায় ছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় এই কিশোর-কিশোরী এক সঙ্গে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
আবু সাইদ চাপাতলা গ্রামের আবু সুলতানের ছেলে। আর সোহানা খাতুন নেপা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের শাহাজামালের মেয়ে। সে কাঞ্চনপুর হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তারা দুইজন সম্পর্কে বেয়াই বিয়াইন।
স্বরুপপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের মেম্বর মোমিনুল ইসলাম জানান, আত্মহননকারি আবু সাইদ তার চাচাতো ভাই আল-আমিনের শ্যালিকা সোহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে। কথাটি জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। হয়তো এই কারণেই তারা আত্মহত্যা করতে পারে।
তিনি জানান, মরদেহ দুইটি সোহানার দুলাভাই আল আমিনের আরেকটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে ছিল। শনিবার সকালে দুইটি মরদেহ এক সঙ্গে ঝুলতে দেখে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মহেশপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে। দুইজনের শরীরে কালশিটে দাগ ও রক্ত ছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
সোহানার বোন শেলী খাতুন জানান, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে গত দেড় মাস ধরে সোহানা তার বাড়িতেই ছিল। এই সুযোগে হয়তো তার চাচাতো দেবর সাইদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে তারা এভাবে মারা যাবে তা কল্পনা করতে পারেনি।
মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আতিক, মনির