চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের(চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সাথে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সৌজন্য সাক্ষাত করেন।সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ সকল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে চট্টগ্রাম সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যেসব ব্যক্তিবর্গ আন্দোলন সংগ্রামে নানাভাবে অবদান রেখেছেন, তাদের সম্মানে এবং নতুন প্রজম্মকে ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ঐসব অবদানকৃতদের স্মরণে ইতিহাস সম্বলিত নাম ফলক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে স্বাধিনতার প্রথম ঘোষণাকারী মরহুম এম এ হান্নানসহ অনেকের নাম ফলক স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার(১৪ জুলাই) দুপুরে বাটালি হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের মেয়র দপ্তরে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
(চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী একুশের প্রথম কবিতা “কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি” রচয়িতা কবি মাহাবুবুল আলম চৌধুরীর নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরীর নাম কবি মাহাবুবুল আলমের নামে নাম করণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মাহাবুবুল আলম চৌধূরীর নাম ফলকটি স্থাপন করার সময় চট্টগ্রামের লেখক, কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজিবীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বড় ধরণে একটি অনুষ্ঠান করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। তিনি এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলনে যারা অবদান রেখেছেন তাদের কীর্তিগাঁথা নিয়ে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
মেয়র আরো বলেন চট্টগ্রাম মহানগরীতে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে জামালখান মোড়ে পাক হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমনের প্রথম শহীদ বশরুজ্জামান চৌধুরী, দিপক বড়ুয়া ও জাফরের নামে যে স্মৃতি ফলকটি চেরাগী পাহাড়ের মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে খাস্তগীর স্কুলের সামনে দৃশ্যমান স্থানে পুনঃ স্থাপন করা হবে বলেও জানান।
মেয়রের সাথে সাক্ষাত কালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রীতিলতার আত্মদানকে স্মরণ করে রাখার জন্য পাহাড়তলীস্থ তৎকালীণ ইউরোপিয়ান ক্লাবকে যাদুঘরে রুপান্তর করার জন্য ইতোমধ্যে মেয়র যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সকলের সহযোগিতা প্রদান করা উচিত বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপাতি কমরেড শাহ্ আলম কবির, মাহাবুবুল আলম চৌধৃুরীর ভাষা আন্দোলনের অবদান ও আমাদের মহান মুক্তি যোদ্ধে যারা যে জায়গায় অবস্থান করে অবদান রেখেছেন তাদের ইতিহাস সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ করার চসিকের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু সরকার, পিনাকি দাশ প্রমুখ।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন