বিএনএ, ববি : বিজয় দিবসকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ই ডিসেম্বর) ‘শহীদ বুদ্ধিজীবি ও বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিতব্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জরুরি নোটিশ’ শিরোনামে আয়োজক কমিটির সদস্য সুপ্রভাত হালদার সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যার শুরুতেই ‘বিজয় দিবসকে স্বাধীনতা দিবস’ উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ”আগামী ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন আঙ্গিক ও পরিসরে প্রশাসনিক ভবনের নীচতলায় (গ্রাউন্ড ফ্লোরে) একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য আগ্রহী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিম্নবর্ণিত উপায় ও নির্দেশনা অনুসরনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইনজাম শাওন নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আর মাননীয় এসব ছোটখাটো কাজে এতো খরচের প্রয়োজন বোধ করেনি হয়তো।”
জি এন নওরিন মন্তব্য করেন, মাননীয় দ্বয়ের বোধোদয়ের উদয় হোক। ও হ্যা! সামনের বছরই তো মেয়াদোত্তীর্ণ। তাই পকেট প্রসারের প্রচেষ্টা বুঝি’।
এ বিষয়ে মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলিশা মুন বলেন, কোনো কালচারাল বিভাগ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে, সারাবছরে শুধু ৩টি দিনে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মত প্রোগ্রাম করতে চাইলে সেখানেও সীমাবদ্ধতা, সামাজিক সংগঠনগুলোকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াটা সরকারি স্বাধীনতা হস্তক্ষেপের নামান্তর তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে এমন বানান ভুলের কথা আর কি বলবো! এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা বাজেট ঘাটতির জন্য প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করেন।
বিজয় দিবসকে স্বাধীনতা দিবস উল্লেখ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখারুল ইসলাম তামিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের ভুল একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
বিএনএনিউজ/ রবিউল ইসলাম/এইচ.এম।