বিএনএ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মির্জা কাউসার নামে এক প্রভাষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে তাকে কালো রঙের একটি হায়েস গাড়িতে করে নিয়ে যায় ৬-৭ জনের একটি দল।
২৮ বছর বয়সী ডা. মির্জা কাউসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়। তিনি এক বছর ধরে কোচিং সেন্টারটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. মির্জা কাউসারের সহকর্মী ডা. সুমন মিয়া জানান, সন্ধ্যায় কালো রঙের একটি হায়েস গাড়িতে পাঁচজন লোক এসে মেডিক্স কোচিং সেন্টারের সামনে নামেন। পরে তারা একসঙ্গে কোচিংয়ের দ্বিতীয় তলায় এসে পরিচালককে খুঁজতে থাকেন? অফিসে ঢুকে মির্জা কাউসারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেই তারা তাকে নিয়ে নিচে নামেন।
ডা. সুমন মিয়া তখন পাশের রুমে ছিলেন। বের হয়ে তিনিও নিচে নামেন। এসময় দেখেন গাড়িতে আরও দুজন বসে আছেন। মির্জা কাউসারকে নিচে নামানো একজন গাড়িতে বসে থাকা দুজনকে জিজ্ঞেস করেন, ইনিই কাউসার কি না? তারা ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেয়ার পরই কাউসারকে গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এসময় গাড়ির ভেতর থেকে কাউসার প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বলেন সুমন মিয়াকে। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে থাকা একজন নেমে তার ফোন কেড়ে নিয়ে চলে যান।
গাড়িতে যারা বসে ছিলেন তাদের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল বলেও দাবি করেন ডা. সুমন। এবিষয়ে ডা. মির্জা কাউসারের বাবা আবদুল হাকিম জানান, তার জানা মতে কাউসারের সঙ্গে কারও শত্রুতা বা ঝামেলা নেই। তাকে কেন অপহরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান জানান, মির্জা কাউসার খুবই নিরীহ প্রকৃতির ও মেধাবী। মেডিক্স কোচিং সেন্টারটি অল্পদিনে অনেক এগিয়েছে। কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক ঘটনায় তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
বিএনএ/এ আর