বিএনএ, ঢাকা : রমজানের আগে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে মর্মে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) জনসাধারণকে আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের আগে আজ এখানে পিএমওতে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতিমূলক বৈঠক থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে দেশব্যাপী খাদ্য মজুদ ও সরবরাহ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ এবং ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়।
ধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রমজানের আগে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে, যা আমাদের জন্য সন্তোষজনক।”
রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সাপ্লাই চেইন যাতে ঠিক থাকে সে জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি, বলেন তিনি।
এ প্রেক্ষাপটে তিনি সকলকে আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা করতে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
তিনি আশ্বস্ত করেন, ‘একবারে অতিরিক্ত খাবার কেনার পরিবর্তে প্রত্যেকে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করলে কোন সমস্যা হবে না। অর্থাৎ যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারো কোন সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালো ভাবে সুন্দরভাবে রোজা এবং ঈদ উদযাপন করতে পারবো।’
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে চিনি আমদানীর থেকে কর কমানোয় এবং ট্যারিফ ভ্যালু তুলে দেওয়ায় রমজানে চিনির মূল্য কম থাকবে।
সরকারের গৃহীত ব্যবস্থায় রমজানের আগে চিনির আমদানি অনেক বেশি হবে বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়াও, খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) যথারীতি অব্যাহত থাকবে এবং টিসিবি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করবে যার মধ্যে রয়েছে ভোজ্যতেল, চিনি, চাল, পেঁয়াজ এবং ছোলা। টিসিবি ঢাকা শহরে খেজুর ও বিক্রি করবে বলে জানান তিনি।
রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ১০ কোটি মানুষ লাভবান হবে জানিয়ে তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক কেজি চালও ১৫ টাকায় বিক্রি হবে।
মুখ্য সচিব বলেন, রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
তিনি বলেন, ইফতার ও সেহরির সময় যথাযথ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং রাত ১১টার পর সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা।
বৈঠকে ঈদের আগে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘœ ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। এবার চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পণ্য মজুত রয়েছে। কেউ অযৌক্তিকভাবে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য সারাদেশে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।