চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন কুঞ্জছায়া আশেকে মদিনা যুব কমিটির উদ্যোগে গত ১১ ফেব্রুয়ারী পবিত্র ঈদে মেরাজুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকা কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ আলম কন্ট্রাক্টর।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নওশাদ চৌধুরী।
প্রধান আলোচক ছিলেন হযরত আল্লামা মৌলানা পীরজাদা শাহসুফি সৈয়দ আহমাদুল হক মাইজভান্ডারী (মা.জি.আঃ), বিশেষ বক্তা ছিলেন আহলে বাইতে রাসুল (দা:) মৌলানা পীর মীর মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন নূরী সিদ্দীকি আল কুরাইশী (দা. বা.আ.)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সমবায় আবাসিক এর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ আলতাব উদ্দিন আহম্মদ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মোহাম্মদ সরওয়ার কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর সিকদার, সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ গুলজার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ খোকন, উপদেষ্টা আরজ ভান্ডারী।
মাহফিল পরিচালনা করেন কুঞ্জছায়া শাহী জামে মসজিদের নায়েবে ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক আল কাদেরী।
আলোচক বলেন, ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবি মুহাম্মদ (সাঃ)। ইসলামের ইতিহাস- অনুযায়ী মুহাম্মাদ (সা:) এর নবুওয়াতের দশম বৎসরে (৬২১ খ্রিষ্টাব্দ) এক রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ(সা.) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন। এটাকে কুরআনের ভাষায় ইসরা বলা হয়। সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে উর্ধ্বলোকে গমন করেন। এটাকে মেরাজ বলা হয়। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার আগ পর্যন্ত এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) তার সফরসঙ্গী ছিলেন।
বিএনএ,এসজিএন