21 C
আবহাওয়া
১১:২৯ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঝাল কমেছে মরিচের, অস্বস্তিতে আলু- পেঁয়াজ

ঝাল কমেছে মরিচের, অস্বস্তিতে আলু- পেঁয়াজ

আলু

বিএনএ ডেস্ক: বর্তমানে মরিচের ঝাল খানিকটা পড়ে এসেছে। গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা থেকে হাজার টাকা দরে বিক্রি হওয়া মরিচের দাম কমেছে। বর্তমানে ২৪০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। আবার গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ১ মাস ধরে মরিচ, পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে আলুর। ঈদের আগেও ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আলু বর্তমানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঈদের পর চাহিদা বাড়ায় খানিকটা চড়েছে মাছের দাম।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। কোরবানির ঈদের আগের অস্থির হওয়া কাঁচা মরিচ বাজারে ৩০০ টাকা বিক্রি হলেও পাড়া-মহল্লায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচের সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমে আসবে বলে মত ব্যবসায়ীদের।

অন্যদিকে টমেটো ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের পর দাম একই খুব বেশি বাড়েনি। সব একই আছে। খালি কাঁচা মরিচের দাম একটু আপ-ডাউন করে। মরিচ ২৮০ টাকা কেজি। এখন ৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে ৩০০, ৪০০ আবার ১ হাজার টাকাও বেচছি। চাহিদা বেশি থাকলে মালের দাম বাইড়া যায়। ইন্ডিয়ান মাল ঢুকছে। এহন মালের দাম একটু কম।’

অন্যদিকে দেশের খুচরা বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, দাম আরও বাড়বে। ভারতে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ও মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ভারতের বাজারে দাম বেড়েছে, বলছেন তারা। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকায়। সেটি বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। অন্যদিকে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া বিদেশি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। আলু, পটল, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙা, কচুরলতি, ঢ্যাঁড়শ, পেঁপে এই দামের মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে আলুর সঙ্গে বেগুনের দামও বাড়তি দেখা গেছে। মানভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি।

ঈদুল আজহার আগে পাইকারিতে আলুর দাম ছিল প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১৫০ টাকার আশপাশে। তাতে প্রতি কেজি আলুর খুচরা মূল্য পড়ত ৩০ টাকা। যেটা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকায় বা তার একটু বেশি। ঈদুল আজহার পরে গতকাল সেই আলুর পাইকারি দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি, খুচরায় গিয়ে যা পড়ছে ৪৫ টাকায়। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫ টাকার ওপরে, ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে থেকেই আলুর দাম বেড়েছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা লাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগেই ১৬০ টাকা পাল্লা বেচছি। (পাল্লায়) পাঁচ কেজিতে ১০ টাকা বাড়ছে। মাল একটু কম। এখন ১৯০ টাকা পাল্লা বেচি। খুচরা ৪০ টাকা কেজি। পাড়া-মহল্লায় ৪৫-৫০ টাকা বেচে।’

মাছের চাহিদা বাড়ায় দামও চড়েছে খানিকটা। এক কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-২০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা-গুলশা-ট্যাংরা জাতীয় মাছ ৫৫০-৮০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ ৩৩০-৩৬০ টাকা, পাঙাশ-তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০-২৫০ টাকা। কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা এমাদুল মল্লিক বলেন, ‘ঈদের পর এখন মাছের বাজারে ক্রেতার ভিড় বেশি। তাই চাহিদা বেড়েছে। আড়ত থেকে বেশি দামে মাছ কিনতে হয়েছে। যার ফলে দাম কিছু বাড়তি।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ