বিএনএ,ডেস্ক : গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার সম্পূর্ণরূপে পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দল গঠন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই সরকারের আশীর্বাদে ও পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক ছক তৈরি করা হয়েছে। এটি মোটেও কোনো নিরপেক্ষ সরকার নয়।” ১০ই মার্চ বেসরকারি টেলিভিশন যমুনার ‘২৪ ঘন্টায়’ এমন তীর্যক মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
গণপরিষদ নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, “তারা গণপরিষদ নির্বাচনের ধারণাকে সামনে এনে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। জনগণ কিন্তু সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়।”
তিনি দাবি করেন, সাধারণ মানুষের কাছে গণপরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই এবং এটি পরিকল্পিতভাবে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরকার পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা অতীতে দেখেছি, শুরুতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা হয়, কিন্তু পরে ষড়যন্ত্রের চিত্র প্রকাশ পায়। আজকের সরকারও এনজিও ভিত্তিক একটি প্রশাসন গড়ে তুলেছে, যেখানে কেবল নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
রাশেদ খান বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, সরকারে একটি ষড়যন্ত্রমূলক পরিবেশ বিরাজ করছে। সংস্কার ও বিচারের অঙ্গীকার নিয়ে যারা সরকারে গিয়েছিলেন, তারা কেন হঠাৎ পদত্যাগ করছেন? তারা যদি সত্যিই সংস্কার করতে চাইতেন, তাহলে দায়িত্বে থেকেই তা করতেন।”
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমরা চেয়েছিলাম সরকার জনগণের দাবি অনুযায়ী কাজ করবে। কিন্তু আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, এই সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের তিন মাস নিরাপদে থেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আর সরকার হাসিনার বিচার করতেও সক্ষম নয়। তাহলে এই সরকারের উদ্দেশ্য কী?”
রাশেদ খান বলেন, “এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা নিজেদের মতো করে রাজনৈতিক দল গঠন করছে এবং রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছে। আজকের নতুন দলগুলো আসলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হয়েছে। জনগণ কখনো এসব কিংস পার্টিকে ভোট দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।”
রাশেদ খান দাবি করেন, “গণঅধিকার পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা লড়াই করে আসছি। কিন্তু এখন কিছু নতুন বিপ্লবী দেখা যাচ্ছে, যারা এতদিন কোথাও ছিল না, অথচ আজ হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। এটি কি সরকারের পরিকল্পিত কৌশল নয়?”
গণ পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আরও বলেন, “যদি সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে জনগণের ওপরই সবকিছু ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক মঞ্চ সাজাচ্ছে।
বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী