চট্টগ্রাম: দীর্ঘ ২৬ বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর মুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের একসময়কার শীর্ষ শিবির ক্যাডার ফটিকছড়ির নাছির উদ্দিন। রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন। সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম।
জানা যায়, নাছিরের বিরুদ্ধে ডাবল, ট্রিপল মার্ডারসহ নগরী ও জেলায় মোট ৩৬টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৩১ মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। দুটির মামলার সাজার মেয়াদ ভোগ করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। বাকি ৩ মামলায় জামিন পেয়ে মুক্ত হন। এর মধ্যে সর্বশেষ ৮ আগস্ট একটি মামলায় জামিন হয়।
নাছিরের আইনজীবী মনজুর মোরশেদ আনসারী বলেন, নাছিরের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সবকটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালের পর চট্টগ্রাম ও মহসিন কলেজ এবং দারুল উলুম মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে
বিশাল ক্যাডার গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন ফটিকছড়ির নাছির। চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেল, চন্দনপুরা ও বাকলিয়া এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে হাটহাজারি, ফটিকছড়ি রাউজান, রাঙ্গুনীয়ায় তার বাহিনী অভিযান চালাতো। জনশ্রুতি রয়েছে, অনেক জনপ্রতিনিধি, এমপি গোপনে তাকে নিয়মিত চাদাও দিতেন।
১৯৯৭ সালের প্রথম দিকে চট্টগ্রাম কলেজ সংলগ্ন এলাকায় নাছিরকে ধরতে একবার অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় নাছির বাহিনীর সদস্যরা ভারী অস্ত্র দিয়ে কাউন্টার অ্যাটাক করে পুলিশকে পিছু হটিয়ে দেয়। ২,৩ থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়েও তাকে ধরতে ব্যর্থ হয় সে সময়। নাছিরের সাথে বিদ্রোহ করে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন শিষ্য।
সর্বশেষ ১৯৯৮ সালের ৬ এপ্রিল আরেকটি অভিযানে চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেলের ছাত্রাবাস থেকে নাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রচার রয়েছে যে, বেশির ভাগ মামলায় জামিন হয়ে যাওয়ায় গত কয়েকবছরে তার কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তবে র্যাব ও পুলিশের ‘ক্রস ফায়ারের’ ভয়ে নাছির তার বিরুদ্ধে থাকা বাকি মামলাগুলোতে জামিনের আবেদন করতেন না। ২০২২ সালে ‘ক্রস ফায়ার’ বন্ধ হলে তিনি মামলাগুলোতে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত সেগুলো নামঞ্জুর করেছিল।
বিএনএ, ওয়াইএইচ, জিএন