বিশ্ব ডেস্ক: ১৯৯৫ সালের বসনিয়ান সার্ব বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্রেব্রেনিকায় আক্রমণ করে ৮হাজারের বেশি বসনিয়ান মুসলিম পুরুষ এবং ছেলেদের হত্যা করে ছিল।
১১ জুলাই ২০২৩ ছিল স্রেব্রেনিকা গণহত্যার ২৮তম বার্ষিকী। প্রতি বছর ১১ জুলাই, পূর্ব বসনিয়ার পোটোকারির একটি স্মৃতি কবরস্থানে গণহত্যার নতুন শনাক্তকৃতদের শায়িত করা হয়।
দিবসটি উদযাপনের আগে পোটোকারি মেমোরিয়াল কবরস্থানে জড়ো হয়ে গণহত্যার শিকারদের আত্মীয়রা কান্না করেন।বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা মঙ্গলবার একটি স্মরণসভায় আরও ৩০ জন নতুন চিহ্নিত গণহত্যার শিকারকে বিদায় জানায়। সভায় বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী যোগদেন।
ডাচ শান্তিরক্ষী সৈন্যদের উপস্থিতি সত্ত্বেও সার্ব বাহিনী একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য বসনিয়ান মুসলিম এবং ক্রোয়াটদের কাছ থেকে এলাকা দখল করার চেষ্টা করছিল। এ কারণে তারা গণহত্যা চালিয়েছিল।
১৯৯৩ গ্রীস্মকালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ স্রেব্রেনিকাকে একটি “নিরাপদ এলাকা” ঘোষণা করেছিল। সেখানকার প্রায় ১৫হাজার বাসিন্দা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যায়, কিন্তু সার্ব সৈন্যরা তাদের ধরে নিয়ে আসে এবং ৬হাজার মানুষকে হত্যা করে। স্রেব্রেনিকার ৫৭০টি স্থান থেকে সে সময় নিহতদের মরদেহ পাওয়া যায়।
মন্টেনিগ্রিন প্রেসিডেন্ট জ্যাকভ মিলাটোভিচ একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে স্রেব্রেনিকার গণহত্যা সবচেয়ে বড় মানবিক ট্র্যাজেডি।
বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া গ্যাব্রিয়েল বলেছেন: “স্রেব্রেনিকাতে যা ঘটেছিল তা আমাদের কখনই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি বলেছেন যে স্রেব্রেনিকার গণহত্যা স্মরণ দিবস নিজের মধ্যে অনেক অকথ্য ট্র্যাজেডি রয়েছে।
আলবিন কুর্তি বলেন, “এমন একটি দিন যখন আমরা ৮৩৭২ জন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা এবং ধর্ষণ ও নির্যাতনের অগণিত অপরাধের কথা স্মরণ করি। এটি একটি অনুস্মারক যে সত্যকে সম্মানিত করা হয় না কিন্তু সার্বিয়া দ্বারা অস্বীকার করা হয়, এটি নিজেই একটি অমানবিক অপরাধ। ”।
২০০৭ সালে হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস রায় দেয় যে, স্রেব্রেনিকাতে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় গণহত্যা, নিপীড়ন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, নির্মূল এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধের জন্য জেনারেল রাটকো ম্লাডিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।
সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি(তুরস্ক)
বিএনএনিউজ, এসজিএন