বিএনএ, সাভার: ঢাকার ধামরাইয়ে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে কাউসার হোসেন (১৮) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিশ। তবে যাত্রীবাহী বাসটির চালক পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিবহনের নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলের লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত কাউসার হোসেন (১৮) ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সিতিপাল্লি গ্রামের কাতারবারিল্লা পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘাতক বাসটি ঢাকা-রাজবাড়ি রুটে চলাচল করে। তবে এটির চালকের ও মালিকপক্ষের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে দূরপাল্লার একটি যাত্রীবাহী বাস মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ওই বাসের পেছনে থাকা অপর একটি দূরপাল্লার বাস ওই বাসটিকে অতিক্রম করতে ডান পাশের লেনে চলে আসে। এতে ডান দিকে থাকা ঢাকামুখী মোটরসাইকেলটির সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকের ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া মোটরসাইকেলটিও ভেঙে চুরমার হয়ে দুই টুকরো হয়ে যায়। এ সময় আশপাশে থাকা লোকজন আহত চালককে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহত কাউসার হোসেন বলেন, দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত কাজে নয়ারহাটে যাচ্ছিলাম। ধামরাই পার হওয়ার সময় ঢুলিভিটা এলাকায় এক বাস আরেকটিকে অতিক্রম করার সময় সেটির সঙ্গে আমার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর আশপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, আহত ওই তরুণকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার পায়ের টাখনুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি যোগাযোগ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘাতক বাসটি আটক করেছে গাজীপুর রিজিয়নের গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে মহাসড়কের বাথুলি এলাকায় রাবেয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি আটক করা হয়। তবে বাসের চালক ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। কিন্তু যাত্রীরা নিশ্চিত করে এ বাসটিই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, আহতের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএ/এমএফ