বিএনএ, ঢাকাঃ সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ বিএনপিসহ তাদের সমর্থিত বিভিন্ন দল ও জোট সারাদেশে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে একযোগে এই গণঅবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে।
বিএনপি জানায়, রাজধানীর নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের দুই প্রান্তে সাতদলীয় জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ ও বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট, বিজয়নগরে পানির ট্যাংকের পাশে ১২-দলীয় জোট, তেজগাঁও এফডিসি-সংলগ্ন অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও গণফোরাম আরামবাগে অবস্থান নেবে। তবে জামায়াতে ইসলামী গণ-অবস্থান না করে দেশের সব মহানগরে আলোচনা সভা করবে।
জামিনে মুক্তি পাবার দুই দিন পরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের দুই দিন আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাস গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা প্রায় এক মাস কারাবন্দী ছিলেন।
গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের যুগপৎ কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। নতুন এ কর্মসূচি চিন্তার ক্ষেত্রে মূল বিষয় হবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদ করা। দুই দিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এদিকে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে জ্যেষ্ঠ নেতারা বিভিন্ন বিভাগে পৌঁছে গেছেন। এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সিলেটে, আবদুল মঈন খান রাজশাহীতে, নজরুল ইসলাম খান ময়মনসিংহে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, সেলিমা রহমান বরিশালে, ইকবাল হাসান মাহমুদ রংপুরে।
বিএনএ/এমএফ