27 C
আবহাওয়া
৫:১২ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সুইস ব্যাংকের কাছে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ চায়নি বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত

সুইস ব্যাংকের কাছে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ চায়নি বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত

সুইস ব্যাংকের কাছে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ চায়নি বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত

বিএনএ, ঢাকা : ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে রাখা অবৈধ অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি।

বুধবার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’-এ তিনি এই কথা বলেন। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈন উদ্দিন।

সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বা এসএনবির ২০২২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছরে বাংলাদেশিরা প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ বাংলাদেশি ৯৫ দশমিক ৭০ টাকা হিসেবে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।’

নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছেন ওই তথ্য প্রতিবছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক প্রকাশ করে। ওই অর্থ অবৈধপথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে রাখা অর্থের বিষয়ে তথ্য পেতে কী করতে হবে, সে বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি।’

নাতালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার কোনো নিরাপদ স্থান নয়। তবে বৈশ্বিক আর্থিক খাতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুইস ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের সংস্কার করেছে। সুইস ব্যাংকগুলো অবৈধ অর্থ রাখার জন্য প্রলুব্ধ করে— এই তথ্য সঠিক নয়।’

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সাল শেষে সেখানকার ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ওই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য হল, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের যে টাকা জমা রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই অবৈধভাবে অর্জিত এবং বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ