বিএনএ: বিপিএল-এর নবম আসরে যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পর পর চার ম্যাচে জয় পেয়েছে মাশরাফির দল। তাওহীদ হৃদয়ের টানা তৃতীয় অর্ধশতকের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ঢাকা ডমিনেটরসকে ২০২ রানের টার্গেট দেয় সিলেট।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় ঢাকা। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নাসিরের দল। মাশরাফির বলে ১০ রানের মাথায় আহমেদ শেহজাদ শূণ্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় আঘাত করে মোহাম্মদ আমির। ১০ বলে ১২ রান করা দিলশান মুনাবীরাকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ঢাকার ৩০ রানের মাথায় তৃতীয় আঘাত করেন মাফরাফি। ৯ বলে ৬ রান করা সৌম্য সরকারের ফিরিয়ে দেন সিলেটের অধিনায়ক।
মোহাম্মদ মিথুনকে সাথে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৪৭ বলে ৭৭ রানের ভাল জুটি গড়েন তারা। ১০৭ রানের মাথায় ২৮ বলে ৪২ রান করা মিথুন আউট হলে ছন্দপতন ঘটে ঢাকার। এরপর আর কোন ব্যাটার তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। ১২০ রানের মাথায় ৩৫ বলে ৪৪ রান করা নাসির আউট হন। তবে তার আগে ফিরে যান উসামান ঘানি, আরিফুল হক ও তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ১৩৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ফলে ৬২ রানের ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
সিলেটের পক্ষে ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি ও আমির ২টি করে এবং ১টি করে উইকেট শিকার করেন রাজা, পেরেরা ও শান্ত।
৪৬ বলে ৮৪ রান করে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন তাওহীদ হৃদয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা মিরপুরে শুরু হয় ম্যাচটি। টস জিতে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন।
উদ্বোধনী জুটিতে হোঁচট খায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৭ রানের মাথায় ৬ বলে ৬ রান করে তাসকিনের শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ হারিস। তাওহীদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় জুটিতে ৮৮ রানের বড় ইনিংস গড়েন নামজুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১০৫ রানের মাথায় ৩৯ বলে ৫৭ রান করে আল-আমিনের শিকারে পরিণত হন তিনি।
এরপর তাওহীদ হৃদয় ছাড়া সিলেটের আর কোন ব্যাটার তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। দলীয় ১৯৪ রানের মাথায় আউট হন তাওহীদ। ৪৬ বলে ৮৪ রানের ঝকঝকা ইনিংস উপহার দেন তিনি। বিপিএলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে টানা তিন ম্যাচে অর্ধশতকের রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল কেবল তামিম ইকবালের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০১ রান সংগ্রহ করে মাশরাফির দল।
ঢাকার পক্ষে আল-আমিন হোসেন ৩টি, তাসকিন আহমেদ ২টি এবং ১টি করে উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি ও আরিফুল হক।
বিএনএ/এ আর