বিশ্ব ডেস্ক: ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে বিপর্যস্ত ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে সমরাস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের কাছাকাছি বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে দেশটি।
রোববার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি বলেন, দেশটির একটি রণতরী ও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ইসরায়েলের কাছাকাছি পাঠানো হচ্ছে। একই সঙ্গে দেওয়া হবে সমরাস্ত্র। এই অঞ্চলে যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি।
নৌবাহিনীর সর্বাধুনিক ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডে রয়েছে ৫ হাজার নাবিক, ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার। যা হামাসের কাছে পৌঁছানো থেকে শুরু করে নজরদারি চালানো পর্যন্ত যেকোনো কিছুর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
শনিবার হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ইসরায়েল কাছে যেতে শুরু হবে।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে, যেন দেশটি সর্বাত্মক যুদ্ধে যেতে পারবে।
মন্ত্রিসভা কমিটিতে গৃহীত ওই সিদ্ধান্তে হামাসের হামলার পর নেতানিয়াহু যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা কমিটি নেতানিয়াহুকে সামরিক অভিযান চালানোর যে অনুমোদন দিয়েছে, তা সোমবার দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটিতে উঠতে হবে। এরপর নেতানিয়াহু এ সিদ্ধান্ত নেসেটের প্লেনারিতে উপস্থাপন করবেন।
সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে ইসরায়েল সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি এবং সামরিক অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় সেনাসদস্য পেতে সংরক্ষিত সেনাদের (রিজার্ভিস্ট) ডাকতে পারবে।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে সশস্ত্র হামলা চালায় হামাসের সদস্যরা। হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া ২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ