বিএনএ, ঢাকা : বোনের আহবানে সাড়া দিয়ে কেউ বাসায় গেলো। এসময় ভাই দলবল নিয়ে হাজির হয়ে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে আটক করে। এরপর চলে নির্যাতন। তাকে বাধ্য করে নগদ টাকা, চেক, ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছাড়া হয়। আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় এই ব্ল্যাকমেইল সিন্ডিকেট চালায় ভাই-বোন। রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়াবাধ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে আসছিল।
স্থানীয় এক ফার্মেসী ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পল্লবী থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা নম্বর ১৯। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রনি, সজিব ও মিজান নামে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও গ্রেফতার হয়েনি মামলার ৪ নং আসামী মিথিলা আক্তার সনি।
মামলার বাদী, পুলিশ এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করে নির্যাতনের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে মামলার প্রধান আসামী রনি তার বোন মামলার ৪ নং আসামী মিথিলা আক্তার সনিকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডেকে এনে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে আটক করে। পরে বিভিন্ন ভয়, ভীতি হুমকী প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে বড় অংকের টাকা আদায় করে।
মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি স্থানীয় ফার্মেসী ব্যবসায়ী মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানায়, মিথিলা আক্তার সনি’র সাথে তার পরিচয় ফার্মেসীতে। সনি তার ফার্মেসী থেকে নিয়মিত নগদ এবং বাকীতে ওষুধ নিত। সনি ২০১৯ সালে একদিন জানায় সে অসুস্থ্য। তার বাসায় ওষুধ পৌছে দিতে অনুরোধ করে মামলার বাদীকে। ওষুধ নিয়ে যাওয়ার পর পরই রনি এবং অন্যান্য আসামিরা তাকে রুমের ভিতর আটক করে আড়াই লাখ টাকা দাবী করে। এই সময় মামলার বাদীর কাছে টাকা না থাকায়, সনির সাথে মামলার বাদীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে ছবি তোলার চেষ্টা করে। মান সন্মান রক্ষার স্বার্থে বিবাদীদের কথা মতো সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে এবং আড়াই লাখ টাকার চেক প্রদান করে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মাজেদুল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দফায় দফায় প্রদান করে। বাকী টাকা প্রদান না করার কারণে, চলতি মাসের ৩ অক্টোবরে মামলার আটককৃত আসামীরা দলবল নিয়ে এসে মাজেদুলকে মারধর করে এবং তার দোকান ভাংচুর করে। রক্তাক্ত মাজেদুল চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দাখিল করে। বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর রাতে অভিযান পরিচালনা আসামীদের আটক করে।
বিএনএনিউজ/আজিজুল/এইচ.এম।