বিএনএ, সাভার : ঢাকার সাভারে বকেয়া বাড়ি ভাড়ার জন্য ন্যাশনাল জুডো দলের এক নারী খেলোয়াড়কে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লা বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের ন্যাশনাল দলের খেলোয়াড়। ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে তিনি স্বর্ণ পদক জিতেছেন। সুমাইয়া মোল্লা বাড়ি এলাকায় শফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তিনি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার সমুরচুরা গ্রামের মোন্তাজ আলীর মেয়ে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের ন্যাশনাল দলের একজন খেলোয়াড়। সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা। আমার বাবা, মা ও ভাই জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে আমি এখানে থাকি না। ন্যাশনাল ফেডারেশনেই থাকি আমি। দুই-তিন দিন আগে এসেছি আম্মুর সাথে থাকবো বলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতে বাসায় আমি পড়ছিলাম। তখন বাড়িওয়ালার স্ত্রী বাসায় এসে বকেয়া বাড়ি ভাড়ার জন্য উচ্চবাচ্য করছিলেন। দুই-তিন মাসের বকেয়া বাড়ি ভাড়া পেতেন তারা। আমি বলছি, যা পান দিয়ে দিবো। তখন আমার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উনি (বাড়িওয়ালার স্ত্রী) আমাকে থাপ্পর দিছেন। আমিও তখন তাকে থাপ্পর দিয়েছি। উনি তখন ওনার স্বামী শফিকুল ও ছেলে হৃদয়কে ডেকে নিয়ে এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করছে। আমার আম্মু বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করছে। এসময় লোহার পাইপ জাতীয় কিছু একটা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করছে ওনারা। থানায় যাওয়ার পর পুলিশ আমাকে চিকিৎসা নিয়ে যাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানিম আহমেদ বলেন, রাতে এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উর্ধতন স্যারদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়ির নিচতলায় ৬ হাজার টাকা ভাড়ায় দুই রুমের ফ্ল্যাট নিয়ে থাকে তারা। ৪০ হাজার টাকা বাসা ভাড়া পাওনা। তিন মাস আগে তারা আমাকে বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা বলে এবং গত মাসে আমাকে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিছে। কিন্তু এই মাসেও বাসা ছাড়েনি।
‘এদিকে আমি আরেকজনের কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। এই জন্য আমার স্ত্রী রাতে তাদের বাসা ছাড়ার নোটিশ দিতে গিয়েছিলো। তখন কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মেয়ে আমার স্ত্রীকে মেরেছে। আমার স্ত্রী অসুস্থ আর ওই মেয়ে ক্যারাটে জানে। আপনাদের বিশ্বাস না হলে বাসার অন্য ভাড়াটিয়াদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন।
তবে সুমাইয়া কীভাবে রক্তাক্ত হলো এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হয়তো ঘরের মধ্যে খাট, আলমারি এমন কিছুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ব্যথা পেয়েছে।
বিএনএ/ইমরান খান/এইচ.এম।