বিএনএ, আদালত প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুনীতি দমন কমিশন(দুদক) করা মামলায় আরও দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ বিচারিক আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটিতে সাক্ষ্য দেন বরিশাল জেলার মেহেদিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন খান ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এলিফেন্ট রোড শাখার ম্যানেজার আরিফুল হক।
এরপর তাদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।জেরা শেষে আদালত আগামী ২৩ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলায় ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
আসামিদের মধ্যে ডিআইজি মিজান এবং মাহমুদুল হাসান কারাগারে রয়েছেন। ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে ২০২০ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান গত ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। গত ২ জুলাই আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ কর জামিন আবেদন করেন। আদালত তাকেও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএনএ নিউজ/এসবি, জেবি