30 C
আবহাওয়া
৬:১১ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফারদিনের দাফন সম্পন্ন; বিচার পাওয়া নিয়ে মায়ের শঙ্কা!

ফারদিনের দাফন সম্পন্ন; বিচার পাওয়া নিয়ে মায়ের শঙ্কা!

ফারদিনের দাফন সম্পন্ন; বিচার পাওয়া নিয়ে মায়ের শঙ্কা!

বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এসময় ফারদিনের পরিবারের সদস্য ও বুয়েটের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন। দাফনের সময় কবরস্থানে স্বজন ও সহপাঠীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

নিখোঁজের পর গত সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি।

ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর (মঙ্গলবার) পৌনে ১টায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফারদিনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশ। জোহরের নামাজের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আছর ডেমরার কোনাবাড়ি এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় তার পৈত্রিক নিবাস দেলপাড়া এলাকায়।

ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিন নূর হত্যার শিকার হয়েছেন।

বিচার পাওয়া নিয়ে মা’র শঙ্কা!

এদিকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার মা ফারহানা ইয়াসমিন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, আমরা তিল তিল করে সন্তানদের গড়ি, আর সন্তানরা শেষ হয়ে যায়। এইটা তো সরকার দেখল না। আজকে মামলা হবে, পরশুদিন আসামি বের হয়ে যাবে, দেশে এই তো হচ্ছে। এ কারণেই আরেকটি ছেলের ক্ষতি হয়ে যায়। তা না হলে কারোর সাহস ছিল না আবরার মরার পরে বুয়েটের কোনো ছেলের গায়ে হাত তোলা।

ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, মেধাবী ছেলেটা বুয়েটে পড়তে যাইয়ে শ্যাষ হইয়ে আসছে। আমরা তিল তিল করে সন্তানরে গড়ছি, কিন্তু সন্তান শেষ হয়ে গেল। এত কলিজা কাদের আছে তাদের তো আপনারা খুঁজে বের করতে পারেন না।’

ফারদিনের মা বলেন, ‘আমার দাবি কী পূরণ করতে পারবেন আপনারা? আমার সন্তান ৩ দিন ধরে নিখোঁজ। আপনারা তো খুঁজে আনতে পারেন নাই। আপনাদের কী বলব, আপনারা তো শুধু বলেই চলে যান।’

ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, বুয়েটে তো আরও একটি ছেলে মারা গেল, তো আপনারা কী করতে পারছেন বলেন? আপনারা তো শুধু রিপোর্ট লিখবেন। আর কিচ্ছু করার নাই আপনাদের। আমার কলিজার টুকরা, আমার সোনামনি চলে গেছে। তাতে কারও কিচ্ছু আসে যায় না। আমার বাবা গেছে গা!

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ