22 C
আবহাওয়া
১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১১, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » পালাতে চায় উপদেষ্টারা! পাসপোর্ট জব্দের দাবি!

পালাতে চায় উপদেষ্টারা! পাসপোর্ট জব্দের দাবি!


বিএনএ, ঢাকা : জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দফা ঘোষণা করেছিলেন সে সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হয়েছিলেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে সরকার থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) র আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন নাহিদ ইসলাম। মাত্র ১ বছর পার না হতেই তার কন্ঠে শোনা গেল চরম এক হতাশার কথা ।

YouTube player

সম্প্রতি একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া
সাক্ষাৎকারে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন,‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছে’ । অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে অথবা গণ–অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যখন সময় আসবে, তখন আমরা এদের নামও উন্মুক্ত করব।’ অভ্যুত্থানের স্পিরিট থেকে উপদেষ্টারা বিচ্যুতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্ররা কেউ সরকারের উপদেষ্টা পদে যেতে চাননি। তাঁরা জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেটা হলে ছাত্রদের দায়িত্ব নিতে হতো না। রাজনৈতিক শক্তি বা অভ্যুত্থানের শক্তি সরকারে না থাকলে অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসও টিকত না।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাদের এবং যাঁরা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাঁদের অনেককে বিশ্বাস করাটা আমাদের অবশ্যই ভুল হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কোটি কোটি টাকা কমিয়েছে, প্রশাসন দখল করেছে —সেটা কেউ বলছে না।

এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ভূকম্পন শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন নাহিদ ইসলামের এই মন্তব্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নড়বড়ে অবস্থাকে সামনে এনেছে।

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কিছু উপদেষ্টার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কোনোভাবে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক্সিট নিতে পারলেই হলো। যাঁরা এ ধরনের চিন্তা করেন, তাঁদের জন্য বলতে হয়—মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলার সমন্বয় সভা শেষে সারজিস আলম এ কথা বলেন।

সারজিস আলম অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন কর্মকান্ডেরও সমালোচনা করে বলেন, জনগণ তাকেও ছেড়ে দিবে না।

এদিকে, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘ উপদেষ্টারা অনেকেই সেফ এক্সিট খুঁজছে এবং আমার মনে হয় সেফ এক্সিট খুজতে উপদেষ্টাদের খুব কষ্ট করতে হবে না। কারণ ম্যাক্সিমাম উপদেষ্টা ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিয়ে চলছেন। সো তাদের একটা বড় অংশই দেশের বাইরে অটোমেটিক্যালি চলে যেতে পারবেন’।

অন্যদিকে, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, ‘এই সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ১৫ দিন আগে তাদের পাসপোর্ট জব্দ করা উচিত। এরপর তদন্ত করে দেখতে হবে—কাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। যদি কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হয় তবে তাকে মুক্তি দিতে হবে; আর দোষী হলে তাদেরকে অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। আমরা সব দুষ্ট লোককে বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই; দুষ্ট লোক কেন দায়িত্বে থাকবে, তা আমরা মেনে নেব না—আর এটাই দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দাবি।

বিএনএনিউজ/সৈয়দ সাকিব/এইচ.এম।

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ