বিএনএ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে নারী পাচারের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মূলহোতা আবুল হোসেন (৫৪) রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক। র্যাবের দাবি, বৈধ এ ব্যবসার আড়ালে বেকার, স্বল্প শিক্ষিত, অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের তালাকপ্রাপ্ত নারীদের বিদেশে পাচার করতেন তিনি।
আবুল হোসেনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আলেয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীকে। তিনি বিদেশে ভালো চাকরির কথা বলে নারীদের এই রিক্রুটিং এজেন্সিতে নিয়ে আসতেন। তাঁর মতো আরও অনেকে ‘দালাল’ এই এজেন্সিতে কাজ করতেন।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল-মোমেন বলেন, রোববার পল্টনের কনকর্ড অ্যাপেক্স রিক্রুটিং এজেন্সির অফিসে অভিযান চালিয়ে আবুল ও আলেয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৩১টি পাসপোর্ট, ২টি মুঠোফোন ও ৩টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। অভিযানে পাচারের জন্য আনা তিন নারীকেও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, বিদেশে পাচার করার পর নারীদের প্রথমে জানালাবিহীন একটি কক্ষে আটকে রাখতেন সেখানে থাকা এই পাচার চক্রের সদস্যরা। এরপর তাঁদের বিভিন্ন বাসায় কাজের জন্য পাঠানো হতো। কাজ করলেও সেখানে ঠিকমতো খাবার দেয়া হতো না। কখনো কখনো খাবারের উচ্ছিষ্ট খেতে দেয়া হতো। অকারণে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো।
বিএনএ/এ আর