24 C
আবহাওয়া
৬:১৭ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্বাধীনতা সংগ্রামে নেপথ্য ভূমিকা ছিল বঙ্গমাতার: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেপথ্য ভূমিকা ছিল বঙ্গমাতার: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেপথ্য ভূমিকা ছিল বঙ্গমাতার: প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার নেপথ্য ভূমিকা রেখেছিলেন বঙ্গমাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। প্রধান রাজনৈতিক ইস্যুতে বঙ্গমাতার সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে। এমন কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন তিনি।রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। গোপালঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিল।

ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকালীন প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি প্রত্যাখ্যান এবং ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের প্রাক্কালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলোর ক্ষেত্রেও আমার মা যখন যে সিদ্ধান্ত গুলো দিয়েছেন সেটাই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সবচেয়ে সহায়ক হয়েছে।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ প্রদান
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ প্রদান

সরকার প্রধান বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন তখন বঙ্গমাতা ৬ দফা দাবির সঙ্গে আরো দুটি দফার প্রস্তাবিত অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের অভ্যুদয় অসম্ভব ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি মেনে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন-এমন একটি ধারণার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন বঙ্গমাতা যিনি তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আব্বা যদি প্যারোলে চলে যান তখন আর আন্দোলন-সংগ্রামের কিছুই থাকতো না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাও প্রত্যাহার হতোনা। সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়েছিল, বাকী যে আসামী সকলকেও তারা মৃত্যুদন্ডই দিত। কেউ আর বেঁচে থাকতে পারতোনা এবং বাংলাদেশও আর স্বাধীনতার মুখ দেখ তো না।

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের বিষয়ে তাঁর মা’র পরামর্শ প্রদানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে বহু নেতাদের নানা মতামত উপেক্ষা করে মা’র মতামতটাই গুরুত্ব পেয়েছে। ৭ মার্চের যে বক্তব্য সেখানে আব্বার হাতে কাগজ বা কোন কিছু ছিলনা। ওনার মনের যে কথাগুলো এসেছে সেখান থেকেই সেটাই তিনি নির্দ্বিধায় বলে গেছেন। ‘কিন্তু ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে অনেক বড় বড় নেতা আব্বার হাতে চিরকুট লিখে দিতেন-এটা বলতে হবে, সেটা বলতে হবে। তখন আমার মা বলে দিতেন তুমি কারো কথা শুনবে না। নিজের মনে যা আসে তা-ই বলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের নারী সমাজ তারাও যেন এই আদর্শটা ধারণ করে। শুধু চাওয়া, পাওয়া, বিলাসিতা এটাই জীবন নয়। একটা মানুষের জীবনে মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে এবং একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যেতে পারে। বলেন, তাঁর মায়ের মহৎ আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে তাঁর বাবার মহৎ অর্জন এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মীজীবনী, ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থগুলো পাঠ করলে তাঁর মা’র অবদান সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। বাবার ছায়াসঙ্গী এবং বাবার আদর্শ তিনি ধারণ করেছিলেন। প্রতিটি কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন।

শুধু স্বাধীনতা সংগ্রাম নয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর মা’য়ের দৃষ্টি ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার আব্বার খুব সৌভাগ্য ছিল যে আমার মা’য়ের মতন একজন জীবন সাথী পেয়েছিলেন। তিনি বঙ্গমাতার পাশাপাশি তাঁর দাদা-দাদীর অবদানও স্মরণ করে বলেন, আমার মা’য়ের মতন একজন জীবন সাথী এবং আমার দাদা-দাদীর মতন বাবা-মা পেয়েছিলেন বলেই আমাদের সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা অর্জন সহজ হয়েছিল।

’৭৫ এর ১৫ আগষ্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর তাঁর মা’ নিজের জীবন ভিক্ষা না চেয়ে জীবনটাও দিয়ে যান উল্লেখ করে সকলের কাছে বঙ্গমাতার জন্য দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ