বিএনএ, ঢাকা : বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি এমন শুল্ক চুক্তির প্রত্যাশা করছে যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিঠি পাঠানোর পর তিনি এমন কথা বলেন।
‘ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন একটি শুল্ক চুক্তির প্রত্যাশায় রয়েছে, যা আমাদের বিশ্বাস অনুযায়ী উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে, বলেন তিনি। ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আলোচনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও এই দলে রয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সোমবার বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি চিঠি পেয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।’
‘বাংলাদেশ দল এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা করেছে,’ বলেন প্রেস সচিব। তিনি জানান, ৯ জুলাইয়ের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দিন।
ট্রাম্প তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘আমরা আপনাদের বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আগামী বহু বছর একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আপনি যদি আপনার এখনো বন্ধ থাকা বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলে দিতে চান, এবং আপনার শুল্ক, অশুল্ক নীতিমালা ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তুলে দেন, তাহলে আমরা সম্ভবত এই চিঠির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে পারি।’
ট্রাম্প বলেন, এই শুল্কহার বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করবে।
‘আপনি কখনোই যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা হতাশ হবেন না,’ অধ্যাপক ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
চিঠিতে তিনি জানান, ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের যেকোনো পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করবে, যা সব খাতভিত্তিক শুল্কহার থেকে আলাদা হবে।
শুল্ক এড়াতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পাঠানো পণ্যের ওপর উচ্চতর শুল্কহার প্রযোজ্য হবে।
‘একটি জিনিস পরিষ্কার হতে হবে, ৩৫ শতাংশ শুল্কহারটি আমাদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির বৈষম্য দূর করার জন্য যথেষ্ট নয়। আপনি জানেন, যদি বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য তৈরি বা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা দ্রুত, পেশাদার ও নিয়মিত পদ্ধতিতে সব অনুমোদন দিতে সম্ভাব্য সবকিছু করব—অর্থাৎ, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই,’ বলেন ট্রাম্প।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।