বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দেয়া শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় কয়েক মাসের মধ্যে ইসরাইলের ‘পুরোপুরি বিজয়’ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন যখন যুদ্ধবিরতি চুক্তির চেষ্টা করছেন, তখন নেতানিয়াহুর মন্তব্য ইঙ্গিত দিল যে শ্রমসাধ্য এই কূটনীতি লাইনচ্যুত হতে পারে। যুদ্ধ পঞ্চম মাসে প্রবেশ করার পরেও ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ব্যবধান কতটা তাও এই মন্তব্য বুঝিয়ে দিল।
নেতানিয়াহু বলেন, গাজা ভূখণ্ডে বন্দি প্রায় ১০০ জিম্মিকে মুক্ত করার জন্য সামরিক চাপ সর্বোত্তম উপায়। গত বছর ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের তাণ্ডবের পরে এই জিম্মিদের গাজায় নেওয়া হয়েছিল। হামাসের ওই হামলা যুদ্ধের সূত্রপাত করে।
প্রধানমন্ত্রী হামাসের একটি বিস্তারিত, ত্রি-পর্যায়ের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। পরিকল্পনাটি সাড়ে চার মাস সময় নিয়ে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, কাতার এবং মিশর দ্বারা প্রণীত একটি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই পরিকল্পনাটি এসেছিল। এতে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন জঙ্গিসহ ইসরাইলের হাতে বন্দী শত শত ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং যুদ্ধের অবসান হবে।
চলমান যুদ্ধে ইসরাইলের লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হামাসের শাসন ও সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা। হামাসের প্রস্তাব অনুযায়ী, তারা কার্যত গাজায় ক্ষমতায় রয়ে যাবে, এবং নিজেদের সামরিক ক্ষমতা পুনর্নির্মাণের সুযোগ পাবে।
সন্ধ্যায় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “হামাসের বিভ্রান্তিকর দাবির কাছে আত্মসমর্পণ করা, যা আমরা এখন শুনতে পাচ্ছি, তা বন্দীদের মুক্তির দিকে পরিচালিত করবে না, এটি কেবল আরেকটি হত্যাজজ্ঞের আমন্ত্রণ জানাবে।”
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের পর হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেন, আরও আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল কায়রো সফর করবে, যা থেকে বোঝা যায় আলোচনা চলতে থাকবে।
বিএনএ/এমএফ