বিএনএ ,ঢাকা(আদালত প্রতিবেদক): মাদক নিয়ে গবেষণা করা ওনাইসি সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার(৭ আগস্ট) রিমান্ড শেষে সাঈদকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৩ আগস্ট আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘মাদকবিজ্ঞানী’ সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার গুলশানের বাসা থেকে ১০১ গ্রাম কুশ, ৬ গ্রাম হেম্প, ০.০৫ গ্রাম মলি, ১ গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩ পিচ এক্সট্যাসি, ২৮ পিচ এডারল ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব। পাওয়া যায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ও অন্তত ৫০ লাখ টাকার মার্কিন ডলার। মামলার সূত্রে জানা যায়, সাঈদ দেশের একটি স্বনামধন্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) করতে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।
পরবর্তীতে মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) করেন মালয়েশিয়ায়। দেশে ফিরে প্রথমে বাবার টেক্সটাইল ব্যবসা দেখাশোনা করেন। বিদেশে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে পরিচিত হন সাইদ। বাবার ব্যবসায়ের পাশাপাশি দেশে নতুন ধরনের মাদকের প্রচলন ও বাজার সৃষ্টির পরিকল্পনা করেন তিনি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে নানা ধরনের মাদক নিয়ে আসতেন তিনি। এসব মাদক তিনি সাপ্লাই করতেন দেশের বিভিন্ন অভিজাত পার্টিতে। সাইদ নিজে শুধুমাত্র ধূমপান ও মদে আসক্ত। কিন্তু গবেষণা করতেন বিভিন্ন নতুন প্রজাতির মাদক নিয়ে। নিজের বাসায় মাদক উৎপাদনের প্ল্যান্ট তৈরি করেন। তার ইচ্ছা ছিল নিত্যনতুন মাদক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। হতে চেয়েছিলেন মাদক বিজ্ঞানী। এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিএনএ নিউজ/ এসবি, ওজি