35 C
আবহাওয়া
৯:২৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঈদের ছুটিতে রাজধানী নিরাপত্তায় ডিএমপির নির্দেশনা

ঈদের ছুটিতে রাজধানী নিরাপত্তায় ডিএমপির নির্দেশনা

ডিএমপি

বিএনএ, ঢাকা: ঈদুল আজহার ছুটিতে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছয় নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (৬ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় নির্দেশনা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ডিএমপির (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি জানায়, উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদুল আজহা সম্পন্নের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ঢাকা মহানগরীর সব বিপণিবিতান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, লঞ্চ ও বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেয়া হয়েছে ছয় নির্দেশনা।

নিরাপত্তা নির্দেশনায় বলা হয়, বিগত ঈদ-উল-ফিতরে আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ডিএমপি যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারবাহিকতায় আমরা পবিত্র ঈদ-উল-আযহার বিস্তারিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ডিএমপির জনবল স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও ঈদের ছুটির সময়ে পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আমরা বিশ্বাস করি পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যদি নিরাপত্তা সচেতনতাবোধ তৈরি হয় তাহলে পুলিশ এবং ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান এর যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে সার্বিক আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধ দমনে অনেক বেশি সফল হওয়া সম্ভব। এসব বিষয়কে সামনে রেখে আসন্ন ঈদে আপনার প্রতিষ্ঠান/বিপণি বিতান/আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো-

১. নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/এ্যাপার্টমেন্ট/বিপণি বিতানসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার করা এবং যে কোন ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। উক্ত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ ফ্ল্যাট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি কর্তৃক তদারকি কমিটি করে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা পালাক্রমে উক্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন।

২. দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা করা। ৩. প্রতিষ্ঠান/বিপণি বিতান/ আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা। ৪. প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে একসাথে ছুটি প্রদান না করে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা যাতে করে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন।

৫. সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণকৃত ভিডিও হার্ড ডিস্কে ঠিকমত রেকর্ড হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা। ৬. দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে নিকটস্থ থানা, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোনের নম্বর রাখা, যাতে যে কোন দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ