23 C
আবহাওয়া
১২:৩৬ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ২ জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ২ জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক মসজিদে তারাবীর নামাজে বিশৃংখলা সৃষ্টির মামলায় দুই জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন আলী হায়দার (৩৫) এবং নূর হোসেন মাস্টার (৫৪)।

শুক্রবার (৭ মে) নূর হোসেন মাষ্টারকে নগরীর ষোলশহরের চাঁন্দগাও থানা এলাকা থেকে এবং আলী হায়দারকে একই থানাধীন পূর্ব ফরিদার পাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া নূর হোসেন নগরীর ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর আমির। আলী হায়দার একসময় ইসলামী ছাত্র শিবিরের তুখোড় নেতা ও সাথী ছিলেন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আলী হায়দার চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদার পাড়া মাজার গলি পুকুর পাড় আব্দুল আজিজ খলিফার বাড়ির আবুল হাশেমের ছেলে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৪ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লক জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের নামে একদল উচ্ছৃঙ্খল লোক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্তে নুর হোসেনের ইন্ধন ও সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া চান্দগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে আগের একটি বিস্ফোরক মামলাও আছে।

তিনি আরও জানান, আলী হায়দারও চান্দগাঁও মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে।

উল্লেখ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চান্দগাঁও বি-ব্লক মসজিদের পেইজে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উপস্থিত মুসল্লিরা তারাবি নামাজ আদায় করতে মসজিদের মই এনে এক যুবককে দোতলায় তুলে দেয়। ওই যুবক দোতলা থেকে নিচতলায় নেমে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয়। তখন উপস্থিত মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করেন। প্রথম দিন মসজিদের তালা ভেঙে মুসল্লিরা প্রবেশ করলেও দ্বিতীয় দিন পুলিশ গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩০ মুসল্লিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ১১ জন জ্ঞাত ও ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এসআই জাকির হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

বিএনএনিউজ/মনির,এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ