বিএনএ, ঢাকা: আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় জামিন শুনানিতে আদালতে এ বক্তব্য দেন তিনি।
‘আদালতে নিজের বক্তব্যে সাহেদ দাবি করেন, তাঁকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি নিজেই র্যাব সদর দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন। পরে ঢাকা থেকে তাকে সাতক্ষীরা নেয়া হয়’।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ দাবি করেন সাহেদ। পরে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাহেদের আইনজীবী দবির উদ্দিন জানান, আদালতের অনুমতি নিয়েই তাঁর মক্কেল কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তারের দাবি করে র্যাব। অস্ত্র মামলায় ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
দবির উদ্দিন জানান, এ মামলায় সাহেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ১২ মে অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।
করোনার নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচ বাবদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এ মামলায় ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকে অন্তর্ভুক্ত করে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
উল্লেখ্য, চেক জালিয়াতির একটি মামলায় ২০১০ সালে সাহেদের ছয় মাসের সাজা হয়। তাঁকে ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ।
বিএনএ/ এ আর