বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। এটা অনাকাঙ্খিত, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা কেউ আর নস্যাৎ করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর ধরে ইতিহাস বিকৃত করা হলেও তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সেটা আর সম্ভব হবে না। ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের প্রেরণা নিয়ে বাঙালি যুগ যুগ ধরে এগিয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আজকে এটা প্রমাণিত সত্য যে সত্যকে কেউ কখনও মুছে ফেলতে পারে না। ৭ মার্চের ভাষণেই জাতির পিতা যেটা বলে গেছেন যে, কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না… বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারে নাই। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ আজকে ইউনেসকো কর্তৃক ইন্টারন্যাশনাল মেমোরিজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ব প্রামাণ্য দলিলে এটি স্থান পেয়ে গেছে।’
৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার।’
এই ভাষণের ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদানের কথাটাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘আমার মা একটা কথাই আমার আব্বাকে ডেকে বলেছিলেন। সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছ এদেশের মানুষের জন্য, সারা বাংলাদেশে তুমি ঘুরেছ। তুমি জানো, বাংলার মানুষের জন্য কোনটা ভালো। কাজেই তোমার মনে যে কথা আসবে, তুমি সেই কথাই বলবা। কারও কথা শোনার তোমার প্রয়োজন নেই।’
৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর দেয়া নির্দেশনা দেশের মানুষ অক্ষরে অক্ষরে মেনে অসহযোগ আন্দোলন পালন করেছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার।’
বিএনএ/ এ আর