বিএনএ: ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জরুরি অবস্থা জারির এই ঘোষণা করেন তিনি। জানান, সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ১০ টি প্রদেশে ৩ মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলো। অনুসন্ধান-উদ্ধার ও পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুত করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শীতকালীন ঝড়ের কারণে সিরিয়া সীমান্তের কাছের তুরস্কের দুর্গম এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোতে খাদ্য এবং অন্যান্য সাহায্য পৌঁছানো দুরূহ হয়ে পড়ছে।
এরদোয়ান বলেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে মানবিক উদ্ধারকর্মী এবং অর্থ সাহায্য পৌঁছানোসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ জরুরি অবস্থার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
১৯৩৯ সালের পর বিগত ৮৪ বছরের মধ্যে এটাই তুরস্কের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। কিন্তু এরদোয়ান উদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতিতে করছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা করে যাচ্ছেন তার বিরোধীরা।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, তুরস্কের গাজিয়াতেপে উৎপন্ন হওয়া ৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩ হাজার ৫ শ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আর সিরিয়ায় সরকারি ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মোট মৃত্যু ১৬০২।
এরদোয়ান বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ৫০ হাজারেরও বেশি সাহায্যকারী পাঠানো হবে। এছাড়া ৫৩০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্যও পাঠানো হবে।
সোমবার তুরস্কের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
বিএনএনিউজ/এ আর